
সর্বজনীন পেনশন স্কিম
শেষ বয়সে সুখী সমৃদ্ধ জীবনের আশার আলো দেখিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিমটি দুই বছর আগে চালু করা হলেও আদতে প্রকল্পটি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। প্রচলিত ব্যাংকে টাকা জমালে বেশি লাভ না-কি সর্বজনীন পেনশন স্কিমে-এই প্রশ্ন এখন সর্বত্র। বিশেষ করে যারা এই স্কিমে নিবন্ধিত হতে চান কিংবা ইতোমধ্যে হয়ে গেছেন সেইসব আগ্রহী গ্রাহকগণের কাছে এখনো হিসাবটি সহজ করে উপস্থাপন করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ফলে চালুর পর থেকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমটি চলছে ‘ঢিমেতালে’। যোগ হয়েছে বহু চ্যালেঞ্জ। দেশের সরকারি-বেসরকারি সকল ব্যাংকে নানা রকম সুযোগ-সুবিধা ও বেশি মুনাফা সংবলিত হরেক রকম ডিপিএস (ডিপোজিট পেনশন স্কিম) চালু রয়েছে। গ্রাহকরা তাদের পছন্দমতো ব্যাংকের ডিপিএসে অংশগ্রহণ এবং প্রয়োজনে স্কিম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। কিন্তু সর্বজনীন পেনশন স্কিমে একবার ঢুকলে বয়স ৬০ হওয়ার আগে আর বের হওয়ার সুযোগ নেই। এ রকম নানা ধরনের জটিলতা সামনে রেখেই স্কিমটিতে গতি ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
জানা গেছে, দেশের সব শ্রেণির জনগণকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনতে সর্বজনীন পেনশন স্কিমটি চালু রাখা হবে। গত বছর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্কিমটির ভবিষ্যৎ প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। কারণ বিস্তর পর্যালোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া সর্বজনীন স্কিমটি চালু নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক চলছিল। এ অবস্থায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক মাসের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এক বৈঠক শেষে ঘোষণা করেন সর্বজনীন পেনশন স্কিমটি চালু রাখা হবে এবং এই স্কিমটি জনপ্রিয় করতে বেশকিছু জায়গায় সংস্কার করবে সরকার।
এর পর গ্রাহক বাড়ানো এবং চাঁদা আদায়ে এ পর্যন্ত ১৭টি ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্বারকে সই, ইসলামিক ভার্সন চালু, প্রচারণা বাড়ানো ও গ্রাহকদের সচেতনতা বাড়ানোর মতো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এই স্কিমের অধীনে চারটি প্রোগ্রাম প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতায় গ্রাহক বাড়ানোর মতো বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকার। আশা করা হচ্ছে, এসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের গতি বাড়বে। তবে গ্রাহকরা বলছেন, স্কিমটিতে গতি বাড়াতে হলে ব্যাংকের চেয়ে সুযোগ-সুবিধা বেশি দিতে হবে।
সার্বজনীন পেনশনে শুরুতেই নিবন্ধিত হয়েছিলেন, মিরপুরের বাসিন্দা শারমিন আক্তার। তিনি জানান, আমার শারীরিক অসুস্থতাজনিত সমস্যার কারণে এখন চাঁদা দিতে পারছি না, অথচ সর্বজনীন পেনশন থেকে টাকা ফেরত পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু প্রয়োজনে ব্যাংকের ডিপিএস ভেঙে চাহিদা মেটানো যাচ্ছে। তাহলে আমার কাছে বেশি নিরাপদ ব্যাংকের ডিপিএস। সর্বজনীন পেনশনে আসল টাকা ফেরত পাওয়ার সুযোগ রাখা হয়নি কিংবা সীমিত করা হয়েছে। ব্যাংকে এসব সমস্যা নেই। তাই এই স্কিমটি জনপ্রিয় করতে হলে অবশ্যই ব্যাংকের চেয়ে আকর্ষণীয় ও মুনাফা বেশি হতে হবে।
সম্প্রতি সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়-দেশের সব শ্রেণির জনগণকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে সরকার। শুরুর দিকে এ স্কিমে মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেলেও এক বছর ধরে তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩১২ জন নাগরিক যোগদান করেছেন সর্বজনীন পেনশন স্কিমে।
ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৮ বছরের অধিক বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে যুক্ত করার পাশাপাশি পেনশন স্কিম সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদান, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পেনশন স্কিমে গ্রাহকদের রেজিস্ট্রেশনে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে রেজিস্ট্রেশন কাজে উৎসাহিত করতে প্রতিটি রেজিস্ট্রেশনের জন্য সরকারি বাজেট বরাদ্দ থেকে ফি প্রদানের জন্য অর্থ বিভাগ থেকে পরিপত্র জারি করা হয়।
এ ছাড়া বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পেনশন মেলা, কর্মশালা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। সর্বজনীন পেনশন স্কিমকে গ্রাহকবান্ধব করতে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ১৭টি ব্যাংক এবং নগদ ও বিকাশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এ প্রসঙ্গে অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার জনকণ্ঠকে বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সফল বাস্তবায়নে তফসিলি ব্যাংকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।
ব্যাংকগুলো যেন তাদের গ্রাহকদের এই স্কিমে নিবন্ধন ও চাঁদা প্রদানে উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে সর্বসাধারণের ভবিষ্যৎ আর্থিকভাবে সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে ইতিবাচক অবদান রাখে সেই আহ্বান জানান অর্থ সচিব। এ ছাড়া অধিক গ্রাহকবান্ধব করার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নতুন ফিচার যুক্ত করা হবে।
এ ছাড়া জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের এক বৈঠক শেষে জানানো হয়-সর্বজনীন পেনশন স্কিম গতিশীল করতে বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব সিদ্ধান্তের প্রচারণা কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে সোশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুক) এবং ইউটিউবে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হবে। নতুন সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে প্রবাসীদের জন্য চালু করা প্রবাস স্কিমের সর্বনি¤œ মাসিক চাঁদার হার ২ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার টাকা করা হবে।
সেইসঙ্গে বেসরকারি চাকরিজীবীদের মাসিক সর্বোচ্চ জমার পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করা হবে। পাশাপাশি একজন চাঁদাদাতা পেনশনযোগ্য বয়সে উপনীত হওয়ার পর আগ্রহী হলে তাকে তার মোট জমা করা অর্থের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ অর্থ এককালীন আর্থিক সুবিধা হিসেবে দেওয়ার সুযোগ রাখা হবে। এ ছাড়া একজন চাঁদাদাতা পেনশনযোগ্য বয়সে উপনীত হওয়ার পর আগ্রহী হলে তাকে তার মোট জমা করা অর্থের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ অর্থ এককালীন আর্থিক সুবিধা হিসেবে দেওয়ার সুযোগ রাখা হবে। প্রবাস এবং প্রগতি পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণকারী অনেকের মাসিক আয় তুলনামূলকভাবে অনেক কম হওয়ায় এ দুটি স্কিমে সর্বনি¤œ মাসিক চাঁদার হার দুই হাজার টাকার পরিবর্তে এক টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়।
প্রগতি পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একটি অংশের মাসিক আয় বেসরকারি খাতের কর্মকর্তাদের গড় মাসিক আয়ের তুলনায় বেশি হওয়ায় তাদের সুবিধায় মাসিক সর্বোচ্চ জমার পরিমাণ ১০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১৫ হাজার টাকায় উন্নীত করা হবে। আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা চুক্তির আওতায় নিয়োজিত সেবাকর্মীদের প্রগতি পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসএসএ) সদস্যপদ গ্রহণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবে। পাশাপাশি টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান, টকশো ও আন্তর্জাতিক ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচারের সময় বিজ্ঞাপন প্রচার ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের চলমান প্রচার কার্যক্রম জোরদার করা হবে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ইসলামিক ভার্সন চালুর বিষয়টি পরীক্ষা করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট থেকে এই স্কিম চালু হয়েছে এবং ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক এতে অংশ নিতে পারছেন। বিশেষ বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিরাও এই স্কিমে অংশ নিতে পারবেন, যদি তারা ১০ বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে চাঁদা দেন। সর্বজনীন পেনশন তহবিলের অর্থ সরকারি ট্রেজারি বন্ড, বিল, সুকুক বা এই ধরনের সরকারি সিকিউরিটিজ, তফসিলি ব্যাংকে স্থায়ী আমানত, শেয়ার বাজারের মিউচুয়াল ফান্ড, এ ক্যাটাগরির বন্ড এবং সরকারের অবকাঠামো খাতে উন্নয়নমূলক প্রকল্পে বিনিয়োগ করার বিধান রাখা হয়েছে।
বর্তমান এই স্কিমে ৩ লাখ ৭৪ হাজার নিবন্ধিত গ্রাহক রয়েছেন এবং তাদের চাঁদার প্রায় ১৯০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া পেনশন স্কিমে প্রদত্ত চাঁদা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কর রেয়াত পাওয়া যাবে এবং মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে। চাঁদার টাকা সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও অনলাইন ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে এবং ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে জমা দেওয়া যাবে।
সর্বজনীন পেনশনে আসছে ‘ইসলামিক ভার্সন’ ॥ সর্বজনীন পেনশন স্কিম জনপ্রিয় করতে ইসলামিক ভার্সন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে চালু থাকা প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা এবং সমতা এই চার স্কিমেরই ইসলামিক সংস্করণ চালু করা হবে। এ লক্ষ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ইতোমধ্যে একটি আন্তর্জাতিক পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম আকর্ষণীয় করতে ইসলামিক ভার্সন চালুর পাশাপাশি স্কিমগুলোতে বিমা সুবিধা সংযোজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পেনশন স্কিমের আওতাভুক্ত করারও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সূত্রমতে, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ইসলামিক ভার্সন না থাকায় নাগরিকদের একটা বড় অংশ এতে অন্তর্ভুক্ত হতে অনীহা প্রকাশ করছে। একই কারণে দেশের লাখ লাখ মসজিদের ইমামদের প্রচার কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি স্কিমের ইসলামিক ভার্সন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে চালু থাকা চারটি স্কিমের ইসলামিক ভার্সন চালু করা গেলে গ্রাহক সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে বলে আশা করছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা গভর্নর স্যারকে আবার অনুরোধ জানাব। পেনশন স্কিমের ইসলামিক ভার্সন চালু ও বিমা সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ইসলামিক ভার্সন চালুর লক্ষ্যে আমাদের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে এডিবির অর্থায়নে একজন আন্তর্জাতিক পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিমার জন্যও কাজ চলছে। তবে ইসলামিক ভার্সন চালু ও বিমা সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করতে সময় লাগবে। কীভাবে চারটি স্কিমে ইসলামিক ভার্সন চালু করা যায়, তার পরিকল্পনা ঠিক করতে এডিবির অর্থায়নে একটি আন্তর্জাতিক পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্কিমগুলোতে বিমা সুবিধা সংযোজন করা, ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পেনশন স্কিমের আওতাভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসএসএ) সদস্যপদ গ্রহণের চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, নিবন্ধনসহ সর্বজনীন পেনশন স্কিমের যাবতীয় কার্যক্রম বর্তমানে একটি ডিজিটাল ওয়েব প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও জনগণের মোবাইলনির্ভর দৈনন্দিন জীবনযাত্রার বাস্তবতা বিবেচনায় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করেছে, যা বর্তমানে সাবস্ক্রাইবারদের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। মোবাইল অ্যাপটি দ্রুত উন্মুক্ত করা হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় ছয় লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতাভুক্ত করার লক্ষ্যে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়েছে। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে গত ১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সভায় একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতাভুক্ত করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব প্রণয়ন করে প্রতিবেদন পেশ করবে।
প্যানেল হু