ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন

শ্রমিকরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২১:২০, ১৯ জুলাই ২০২৫

শ্রমিকরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি

ছবিঃ সংগৃহীত

শ্রমিকরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। তাদের সকল যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হবে বলে জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেন, ‘শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী শ্রমিকদের অসন্তোষ দূর করতে আমরা কাজ করছি। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষের সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে। অনেক মালিক ভালো কাজ করলেও কিছু অসাধু মালিক নতুন সমস্যা সৃষ্টি করছে, যা সমাধানে আমরা সচেষ্ট।’

শনিবার (১৯ জুলাই) ‘জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা -২০২৫’ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলায় রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ১৭ জন শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়া, জুলাই ছাত্র-জনতা আন্দোলনে নিহত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার, নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শ্রম আইন সংশোধন, ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। জেনেভায় আইএলও সম্মেলনে শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য বাংলাদেশের পক্ষে জোরালো আবেদন করা হয়েছে। যেকোনো প্রতিষ্ঠানে ৫ জন শ্রমিক থাকলে ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান ট্রেড ইউনিয়নকে কালো তালিকাভুক্ত করতে পারবে না। এ জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। সামাজিক ক্লাবগুলোও শ্রম আইনের আওতায় আসবে। কৃষি, শিল্প, গার্মেন্টস ও রপ্তানি খাতে শ্রমিকদের পরিশ্রম দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে। বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের রেমিট্যান্স অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে।’

শ্রমিক সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ বলেন, শ্রমিকরা দেশকে ভালোবাসে—আমরা দেখেছি, স্বৈরাচার পতনের পর ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সাভার ও নারায়ণগঞ্জের শ্রমিকরা কলকারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সচল রেখেছে। দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে শ্রমিকরা ছিল সহযোগিতাপূর্ণ।

এছাড়াও সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার বিভাগীয় কমিশনার, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধি, সাভার উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার ব্যক্তিবর্গ এবং সাভারের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকবৃন্দ।

ইমরান

×