
ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদকে কটুক্তি করে বক্তব্য দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের মানুষ। এনসিপির ঈদগাঁও ও চকরিয়া অঞ্চলে আয়োজিত পথসভা ভেঙে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা।
সূত্র জানায়, চকরিয়ায় জনতা টাওয়ার এলাকায় এনসিপির সমাবেশ চলাকালে মঞ্চে বিএনপির হামলা ও ভাঙচুর হয়। রাস্তায় চেয়ার ছুড়ে মারা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মাঠে নামে। বর্তমানে পুরো এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
এদিকে বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে চকরিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ চলছে। বক্তারা বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ কক্সবাজারের গর্ব। তিনি একজন অভিজ্ঞ ও শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে এনসিপি কক্সবাজারের শান্তি বিনষ্ট ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ একজন সম্মানিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যার মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা এত সহজ নয়। তিনি বিএনপির প্রাণ। এনসিপিকে আগে রাজনীতি শিখতে হবে, তারপর মাঠে নামতে হবে।
চকরিয়া বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে মিছিলের পর মিছিল। এনসিপি নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল বের করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও দেখা যায়।
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি নেতারা বলেন, কক্সবাজার শহীদ দৌলত ময়দানে এসে এনসিপি নেতা ডার্বি নাসির কক্সবাজারের ভূমিপুত্র সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা অশোভন, কুরুচিপূর্ণ এবং অগ্রহণযোগ্য। তার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
নেতারা আরও বলেন, ‘জুলাই আমাদের দুই সহস্রাধিক শহীদের রক্তের ইতিহাস। এই জুলাই কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, কারো “বাপের” নয়। অনতিবিলম্বে তাকে এ কুরুচিপূর্ণ আচরণের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
উল্লেখ্য, বিএনপি নেতাকর্মী ও উত্তেজিত জনতার তোপের মুখে এনসিপি নেতারা ঈদগাঁও ও চকরিয়ায় আর কোনো পথসভা না করে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করেন।
ফারুক