
ছবিঃ সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “আমাদের পদযাত্রা এখন কক্সবাজারে, সেখান থেকে এটি যাবে বান্দরবানে। ইতিমধ্যে দেশের অর্ধেকের বেশি জেলার মানুষদের কাছাকাছি যেতে পেরেছি, তাদের প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষা ও সমস্যাগুলো সরাসরি জানার সুযোগ পেয়েছি। এটা আমাদের রাজনৈতিক অভিযাত্রার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি রাজনীতি সচেতন। আমাদের ভুলত্রুটিও তারা সাহসের সঙ্গে তুলে ধরছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সরব ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের অনুপ্রাণিত করছে। আমরা মনে করেছিলাম মানুষ রাজনীতি বিমুখ হয়ে পড়েছে, কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা অনেক বেড়েছে।”
নাহিদ ইসলাম জানান, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, স্থানীয় সমস্যা ও জনগণের রাজনৈতিক মনোভাব সরাসরি দেখার অভিজ্ঞতা এনসিপির জন্য ছিল অমূল্য। “এই অভিজ্ঞতাই আমাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা ও রাজনৈতিক আত্মীয়তা তৈরি করছে,”—বলেন তিনি।
পদযাত্রার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রত্যাশা ও বাস্তবতার তুলনা টেনে নাহিদ বলেন, “গোপালগঞ্জে আমরা একটা বড় ধাক্কা খেয়েছি। সেখানে হামলার কারণে দুইটি জেলা সফর বাতিল করতে হয়েছে। তবে ফরিদপুর, রাজবাড়ির মতো জেলায় জনগণের অপ্রত্যাশিত সমর্থন পেয়েছি। কোথায় কাজ কম হয়েছে, সেসব জায়গা খতিয়ে দেখে শোধরানোর চেষ্টা করছি।”
গোপালগঞ্জের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গোপালগঞ্জে আমরা বুঝতে পেরেছি যে মুজিববাদী ফ্যাসিবাদ এখনো বহাল আছে। এটি কেবল রাজনৈতিক আদর্শ নয়, একটি সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি, যা মিডিয়া ও ব্যবসায়েও কার্যকর। শুধু দল নিষিদ্ধ করলেই এটি শেষ হবে না। এই আদর্শের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে বহু ফ্রন্টে।”
সেনাবাহিনীর এপিসি দিয়ে গোপালগঞ্জ ত্যাগ করাকে ‘পলায়ন’ বলার সমালোচনার জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা কোনো যুদ্ধ করতে যাইনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে নির্দেশনা দিয়েছে, আমরা তা মেনেই চলেছি। যদি তারা আরও সক্রিয় হতো, তাহলে পরিস্থিতির এত অবনতি হতো না। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছি।”
শেষে তিনি বলেন, “এই ধাক্কা সামলেও আমরা আমাদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হইনি। জনগণের প্রত্যাশা ও অংশগ্রহণ আমাদের পথে অনুপ্রেরণা হয়ে আছে।”
তথ্যসূত্রঃ https://youtu.be/AjVPLDNJZqk?si=UoOa8kLT78sZIeCb
মারিয়া