ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২

আলালের স্মৃতিচারণে উঠে এল প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সৌজন্য ও শৃঙ্খলা

প্রকাশিত: ১৬:০৬, ১৯ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৬:১০, ১৯ জুলাই ২০২৫

আলালের স্মৃতিচারণে উঠে এল প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সৌজন্য ও শৃঙ্খলা

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলের প্রবীণ নেতা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এক স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্যে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের সঙ্গে নিজের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন।

সম্প্রতি একটি আলোচনায় আলাল বলেন, বরিশাল সার্কিট হাউসে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের একটি ঘটনা আজও তাঁর স্মৃতিতে গেঁথে আছে। তিনি তখন বরিশাল জেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। এক বৈঠকে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছিলেন তিনি। সেই সময় প্রেসিডেন্ট জিয়া তাঁকে কাছে ডেকে নিয়ে কাঁধে হাত রেখে কানে কানে বলেছিলেন— “প্রশাসনের সামনে তাদের দুর্নাম করতে হয় না, আমি পরে শুনবো, সমস্যা হবে আপনার।” এই মুহূর্তটি আলালকে শেখায় প্রশাসনিক সৌজন্য ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার বাস্তব শিক্ষা, যা তিনি আজও মনে রাখেন।

একই দিনের আরেক স্মৃতিতে আলাল জানান, দুপুরে প্রেসিডেন্ট জিয়া বরিশাল সার্কিট হাউসে খাবার গ্রহণ করছিলেন। তাঁর খাবারের তালিকায় ছিল—একটু ভাজি, একটি মাছের টুকরো এবং দুটি মুরগির টুকরো। তবে খাবারের এক পর্যায়ে দেখা যায়, অতিরিক্ত নানা ধরনের ডিশ আসতে থাকে।

প্রেসিডেন্ট জিয়া তখন খাওয়া থামিয়ে হাত ধুয়ে রুমে চলে যান। পরে তাঁর মিলিটারি সেক্রেটারি মেজর জেনারেল সাদেক উপস্থিত ডিসি-কে তিরস্কার করে বলেন— “আপনারা প্রেসিডেন্টের খাবার জানেন না? তিনি এত কিছু খান না। এই বাড়তি খাবারের বিল বঙ্গভবনে পাঠাবেন না, গ্রহণ করা হবে না।”

জানা যায়, এসব বাড়তি খাবার স্থানীয় এক বিএনপি নেতা নিজ উদ্যোগে রান্না করিয়ে পাঠিয়েছিলেন।

আলালের ভাষ্য অনুযায়ী— “এই ঘটনাগুলো আমাদের দেখিয়েছে, কীভাবে একজন রাষ্ট্রপ্রধান নিজের আচরণে নম্রতা, শৃঙ্খলা এবং সাদাসিধে জীবনযাপনকে গুরুত্ব দিতে পারেন। জিয়াউর রহমান সাহেবের ব্যক্তিত্ব, সততা ও রাষ্ট্রচিন্তা আমাদের রাজনীতিতে এখনো বিরল দৃষ্টান্ত।”

ফারুক

×