সাগর-রুনীর সন্তান মেঘ পরিষ্কার করছেন বঙ্গবন্ধুর বাড়ি
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি। সেই থেকে পেরিয়ে গেছে ১৪ টি বছর। সাগর ও রুনি নিহতের সময় এই পৃথিবীতে রেখে যান তাঁদের একমাত্র সন্তান মাহির সরওয়ার মেঘকে। মাত্র সাড়ে পাঁচ বছর বয়সেই হারায় যে ছোট্ট শিশুটি।
মেঘের বয়স এখন ১৭। সেই ছোট্ট মেঘ এখন কিশোর। লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রিকেটেও বেশ মনোযোগ তার। তবে সম্প্রতি স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে মেঘের ভূমিকা প্রশংসা কুড়িয়েছে নেটিজেনদের মাঝে। অনেকেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে লিখছেন মেঘকে নিয়ে। বলছেন, যেই রাষ্ট্র মেঘের বাবা-মা এর হত্যার বিচার করতে পারেনি সেই রাষ্ট্র সংস্কারে এগিয়ে এসেছে মেঘ।
এমনকি স্বৈরাচারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পরেও মেঘের কর্মকাণ্ড মানুষের মাঝে আবেগ ও ভালোবাসার সৃষ্টি করছে। সরকারের পতনের পর উত্তেজিত জনতা পুড়িয়ে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি। সম্প্রতি মেঘকে দেখা গিয়েছে বন্ধুদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ এর এ বাড়িটি পরিষ্কার করতে। এ সম্পর্কিত একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে।
এ বিষয়ে জনপ্রিয় অনলাইন একটিভিস্ট ও উদ্যোক্তা আনন্দ কুটুম তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেন, সাগর-রুনীর সন্তান মেঘ তার বন্ধুদের নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ এ বঙ্গবন্ধুর বাড়ি পরিস্কারের পরে সেটা পাহারা দিচ্ছে। এই প্রজন্ম বারবার কাঁদায়।
যে পোস্টটি এ রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজার মানুষ শেয়ার করেছেন এবং ১১৪ জন মন্তব্য জানিয়েছেন। আর অসংখ্য মানুষ এ পোস্টটিতে ভালোবাসার রিএক্ট জানিয়েছেন।
কমেন্ট বক্সে বিল্লাহ মামুন নামের একজন মন্তব্য করেছেন, আশা করি আওয়ামীলীগের তাঁরা এগুলো দেখে শিখবে এবং তার মা বাবাকে কে কে মারছে সেটা দ্রুতই প্রকাশ করবে।কারণ তারা জানতো।
এছাড়াও মারুফ নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, কিন্তু সে আজ ও বিচার পাইনি তার মা বাবা হত্যাকাণ্ডের।
ওয়াহিদা আনোয়ার লিখেছেন, মেঘ তুমি অনেক বড় হও বাবা, যেই মানুষ তোমার বাবা মাকে মারলো তার বাবার বাড়ি তুমি গুছাচ্ছ।
এসময় অনেকেই তাঁদের মন্তব্যের ঘরে সাগর-রুনীর হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়েছেন।
বারাত