ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিশুরাই উন্নত-সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কারিগর : ইন্দিরা

প্রকাশিত: ১৯:৪৬, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

শিশুরাই উন্নত-সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কারিগর : ইন্দিরা

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিরা

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, আজকের শিশু ও কিশোররাই ২০৪১ সালের উন্নত-সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কারিগর। তাই শিশুদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা একান্ত অপরিহার্য। সরকার হতদরিদ্র, ছিন্নমূল পথশিশুদের পুনর্বাসন, শিশু শ্রম নিরসন, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ এবং শিক্ষা ও বিনোদনের সুযোগ নিশ্চিত করতে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সুবিধাবঞ্চিত কিশোর-কিশোরীদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা হলে, তারা সমাজের চেঞ্জ এজেন্ট হিসেবে কাজ করবে।

রবিবার রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ইউনিসেফের সহায়তায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাস্তবায়িত ‘এক্সেলেরেটিং প্রোটেকশন ফর চিলড্রেন (এপিসি)’ প্রকল্পের আয়োজনে ‘ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অন হার্মফুল প্র্যাকটিস এন্ড ভায়োলেন্স এগেইন্সট চিলড্রেন এন্ড ওমেন’ বিষয়ে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ প্রশিক্ষণে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ৬০ জন উপপরিচালক ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করে।

এসময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা পুরনে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে ১২ লাখ ৫৪ হাজার মাকে মা ও শিশু বেনেফিট ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। শিশুদের দারিদ্র বিমোচন, পুষ্টি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, মননশীলতা, বিকাশ ও নিরাপদ আশ্রয় ইত্যাদি সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্য, কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল। আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফের চাইল্ড প্রোটেকশন চিফ নাতালিয়ে ম্যাককৌলি, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, প্রকল্প পরিচালক এস এম লতিফ ও ইউনিসেফের চাইল্ড প্রোটেকশন ম্যানেজার এলিজা কল্পনা।

এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো: হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকার শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা,পুষ্টি ও কল্যাণের সুযোগ বৃদ্ধি করছে। 

এপিসি প্রকল্প দেশের সুবিধা বঞ্চিতদের নারী, শিশু ও কিশোরদের গুণগত মানসম্পন্ন সামাজিক সেবা এবং ইতিবাচক আচরণ চর্চার মাধ্যমে ক্ষমতায়নে কাজ করছে। প্রকল্পটি ২৫টি জেলার ৫০টি উপজেলা এবং ১১টি সিটি কর্পোরেশনে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২,১০০টি কিশোর কিশোরী ক্লাব স্থাপন ও পরিচালনা, সাঁতার প্রশিক্ষক তৈরী, এক লাখ শিশুকে সাঁতার শেখানো, ৭,৫৪৫ জন কিশোর কিশোরীকে ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম থেকে সরিয়ে পড়াশুনায় অংশগ্রহণ করানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। 

অনুষ্ঠানে শেষ প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা উপপরিচালক ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাদের মধ্যে মাল্টিমডিয়া প্রজেক্ট বিতরণ করেন।
 

 

স্বপ্না

×