ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তা নিয়ে সুখবর নেই ॥ কুশিয়ারার পানি বণ্টনে সমঝোতার চেষ্টা

একযুগ পর দিল্লীতে হচ্ছে জেআরসি বৈঠক

জনকণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০০:১১, ২০ আগস্ট ২০২২; আপডেট: ০০:১২, ২০ আগস্ট ২০২২

একযুগ পর দিল্লীতে হচ্ছে জেআরসি বৈঠক

বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক

দীর্ঘ এক যুগ পরে দিল্লীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠকযদিও দুই দেশের পক্ষ থেকে জেআরসি বৈঠকের আনুষ্ঠানিক দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নিতবে ২৩ থেকে ২৫ আগস্টে বৈঠকটি আয়োজনে দুই দেশ ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলে জানা গেছেবৈঠকে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে সুখবর না থাকলেও কুশিয়ারার পানি বণ্টন নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে দুই দেশ। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগে জেআরসির বৈঠকটি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছেকারণ বৈঠকে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে চুক্তি ও গঙ্গার পানি চুক্তির পুনর্নবায়ন নিয়ে আলোচনা হবেকুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা চলছেতবে তিস্তার পানি চুক্তি নিয়ে আলোচনা হলেও খুব বেশি অগ্রগতি না হওয়ার আশঙ্কাই বেশিবাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা

নির্ভরশীল সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ জেআরসি বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা করছেতাই বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে ভারত অবশেষে এক যুগেরও বেশি সময় পর জেআরসি বৈঠকে বসছে ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট দিল্লীতে২৩ আগস্ট বাংলাদেশ ও ভারতের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ২৪ আগস্ট কমিশনের সদস্য তথা টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞদের এবং ২৫ আগস্ট পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ও ভারতের জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবেজেআরসির পূর্ণাঙ্গ বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণাপত্র বা সমঝোতা সই হবে

আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ভারত যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাতার সফরকালে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে জেআরসির সুফল হিসেবে একাধিক চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে

ভারতের জলসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, জেআরসি বৈঠক করার জন্য বাংলাদেশ বহু দিন ধরে অনুরোধ জানিয়ে এলেও নানা কারণে তা সম্ভব হচ্ছিল নাএখন শেখ হাসিনার সফরের ঠিক আগে যেভাবে তড়িঘড়ি জেআরসি বৈঠক আয়োজন করা হচ্ছে তাতে ধরেই নেয়া যায় এটা নেহায়েত কোন রুটিন দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে নাবৈঠক থেকে ইতিবাচক কিছু না কিছু থাকবেই

চার বছর বাদে যে গঙ্গা চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে সেটি কীভাবে ও কোন আকারে পুনর্নবায়ন করা যেতে পারে তা নিয়ে জেআরসিতে বিশদ আলোচনা হবেসেই সঙ্গে ভারত থেকে বাংলাদেশের সিলেটে প্রবেশ করা কুশিয়ারার পানি ভাগাভাগি নিয়েও দিল্লী-ঢাকা একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করবে

উল্লেখ্য, গত ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে যখন দিল্লীতে ঐতিহাসিক গঙ্গা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এইচ ডি দেবগৌড়াবাংলাদেশের তকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন দিল্লীতে গিয়েছিলেন, আর চুক্তি সম্পাদনে খুব বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তখনকার মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু

তবে তিরিশ বছর মেয়াদি ওই চুক্তিটির প্রায় ২৬ বছর ইতোমধ্যে অতিক্রান্ত, এখন দুই দেশই তাদের গত আড়াই দশকের অভিজ্ঞতার আলোকে চুক্তিটি নবায়ন করার আগে তাতে কিছু পরিমার্জন-পরিবর্তন করতে চায়জেআরসির আসন্ন বৈঠকে সে সব প্রস্তাবের রূপরেখা নিয়ে চুলচেরা আলোচনা ও ইতিবাচক ঘোষণা হবে বলে আশা করা হচ্ছে

জেআরসি ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে সামনে রেখে জেআরসিতে কুশিয়ারা নদীর বিষয়ে সমাধানে পৌঁছাতে চায় ঢাকাপ্রধানমন্ত্রীর সফরে আনুষ্ঠানিকভাবে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছেআর এই সমঝোতা স্মারকের আলোকে বাংলাদেশ কুশিয়ারা নদীর পানি রহিমপুর খাল দিয়ে কৃষিকাজে ব্যবহার শুরু করার পর ভারতকে প্রতিদিন ফেনী নদীর ১.৮২ কিউসেক পানি দেবে

২০১৯ সালে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, ফেনী নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক পানি ত্রিপুরার সাব্রুম শহরে সরবরাহ করা হবে, যাতে সেখানে পানীয় জলের প্রয়োজন মেটানো যায়

গঙ্গা নদীর ওপর অবকাঠামো নির্মাণ এবং বছর চারেক পরে শেষ হতে যাওয়া গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তির মেয়াদ সময়ভিত্তিক না করার বিষয়েও আলোচনা করবে ঢাকাঅন্যদিকে ছয়টি অভিন্ন নদী নিয়ে আলোচনা হবেআর নয়াদিল্লীর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে গুরত্ব দেয়া হবে বলে ইঙ্গিত রয়েছে

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, নয়াদিল্লী বলছে তিস্তা নদী আলোচনায় থাকলে দীর্ঘ বিরতির পর অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে সেটি নিয়ে ভাল কিছু হবে নাতবে ঢাকা বলছে, নয়াদিল্লী তিস্তা নিয়ে অনাগ্রহ দেখালেও আলোচনায় তিস্তাতে জোর দেবে ঢাকাআর এই চাপ কিংবা আলোচনা তিস্তার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত জিইয়ে রাখা হবেতবে এবারের জেআরসিতে তিস্তা ইস্যুতে অগ্রগতি হচ্ছে না বলেই ধরে নিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা

তিস্তা, গঙ্গা কিংবা ছয়টি অভিন্ন নদীর বাইরে সাম্প্রতিক বর্ষায় দুই দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বিভিন্ন নদীর পানি বেড়ে তীরবর্তী অঞ্চলে বন্যা প্রসঙ্গও থাকবে আলোচনার টেবিলেগত জুন-জুলাই মাসে অতি বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে নদীর পানির স্তর বেড়ে যাওয়ায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অসম ও তার সীমান্ত ঘেঁষা বাংলাদেশের সিলেট বিভাগে ব্যাপক বন্যার ঘটনা আমলে নিয়ে এ ধরনের দুর্যোগ প্রতিরোধে যৌথভাবে কাজ করতে চাইবে যৌথ নদী কমিশন। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আগামী ২৩ আগস্ট পানি সচিব পর্যায়ে এবং এক দিনের বিরতি দিয়ে ২৫ আগস্ট মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছেবৈঠকে কুশিয়ারা আসবে, তিস্তা আসবে, ছয়টি অভিন্ন নদী আসবেমোটা দাগে দুই দেশের পানি সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলো আলোচনায় আসবেকোনটাতে হয়ত অগ্রগতি আসবে, আবার কোনটাতে অগ্রগতি নাও আসতে পারে

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস বলেন, অনেক বছর পর জেআরসি হচ্ছে

এবারের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ১২ বছর পর বৈঠকটা হচ্ছেএটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ফোরামছয়টি অভিন্ন নদী, কুশিয়ারা বা অন্য নদীগুলোর ক্ষেত্রে ফোরামগুলোতে যে অগ্রগতি হয়েছে, সেগুলো আবার আলোচনায় আসবেআর যেগুলোর ক্ষেত্রে সমাধানে পৌঁছানো যায়নি, হয়ত সামনে উভয় পক্ষের সম্মতিতে সেগুলোতে ভাল কিছু হতে পারে।    

যৌথ নদী কমিশনের এক সদস্য জানান, জেআরসির পর পরই প্রধানমন্ত্রী ভারত যাবেনএবারের বৈঠকের উদ্দেশ্য বা আমাদের চাওয়া থাকবে অন্তত পক্ষে কুশিয়ারার এমওইউটা যেন সাইন হয়এটা আমাদের সবচেয়ে বড় টার্গেটযেহেতু আমরা ফেনী নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক খাওয়ার পানি মানবিক কারণে ভারতকে দেয়ার বিষয়ে এমওইউ করেছিলাম

আমরা ওখানে কোন ইমপ্লিমেন্টেশনে যাইনি, শুধু এমওইউ করেছিযদি এবার কুশিয়ারা সাইন হয়, তাহলে রহিমপুর খাল থেকে কৃষি কাজের জন্য আমরা যখন পানি নেয়া শুরু করব তখন একই সময়ে ফেনী নদী থেকে ভারতে পানি দেয়ার বিষয়ে যে এমওইউ স্বাক্ষর হয়েছিল, সেটার ইমপ্লিমেন্টেশনের দিকে নিয়ে যাব

নয়াদিল্লী আলোচনায় তিস্তা প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতে চায়তবে কি ঢাকার পক্ষ থেকে তিস্তা বাদ দিয়েই আলোচনা হবে জেআরসিতে? এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব (পূর্ব) মাশফি বলেন, ওদের (ভারত) চাওয়া না চাওয়া নয়, আমরা বিষয়টা তুলবইআমাদের লাইফলাইন তিস্তাতিস্তাটা আমাদের অবশ্যই তুলতে হবেআমরা অবশ্যই তুলব এবং সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে থাকবে

তারা মমতা ব্যানার্জীকে রাজি করাতে পারুক না পারুক এটা তাদের ইস্যুএকই বার্তা দেন যৌথ নদী কমিশনের এক সদস্যওতিনি বলেন, যখনই আমরা যৌথ আলোচনায় বসি, সেটা যে সফল হবে তা ভাবা ঠিক হবে নামিটিংগুলো করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, ভারতকে সব সময় একটা চাপের মধ্যে রাখা, যেন কোন একটা জায়গায় সাফল্য আসেআমরা তাদের বারবারই চাপ দিই, আমরা তিস্তা নিয়ে এখনও উদ্বিগ্ন, আমরা কুশিয়ারা নিয়ে উদ্বিগ্ন, আমরা ছয় নদীর একট খসড়া চাই

ভারত যেভাবে গঙ্গা নদীর ওপরে ফারাক্কা পয়েন্টে একটি ব্যারাজ নির্মাণ করেছে, সে রকম বাংলাদেশও গঙ্গা নদীর ওপর অবকাঠামো নির্মাণের কথা ভাবছেতিনি বলেন, তিস্তা অবশ্যই এবারও আমাদের আলোচনায় থাকবেএটা নিয়ে আমরা সব সময় তাদের ওপর একটা চাপ দিতে থাকি, এবারও আমরা চাপ দেব ভারতকেএটার ফলাফল কী হবে এই মুহূর্তে বলা যাবে নাআর ছয় নদীর ব্যাপারে আমরা তথ্য বিনিময় করেছি, সেটা নিয়েও আমরা আলোচনা করব

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিভিন্ন নদীর জলসম্পদ বণ্টন, সেচ এবং বন্যা ও এই জাতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ যৌথভাবে মোকাবেলা করতে ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ ভারতের তকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে সমঝোতার মধ্য দিয়ে গঠিত হয় যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি)সবশেষ, ২০১০ সালে জেআরসি বৈঠক হয়েছিল। 

ভারতের হুগলী নদীতে পানি সরবরাহ এবং কলকাতা বন্দরটি সচল করার জন্য ১৯৭৪ সালে ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করা হয়যার অবস্থান বাংলাদেশ থেকে ১৮ কিলোমিটার উজানে ভারতের ভূখ-ে গঙ্গা নদীর ওপরেভারত যেভাবে গঙ্গা নদীর ওপর ফারাক্কা পয়েন্টে একটি ব্যারাজ নির্মাণ করেছে, সে রকম বাংলাদেশও গঙ্গা নদীর ওপর অবকাঠামো নির্মাণের কথা ভাবছে

তবে সেটি অবশ্যই পরিবেশের জন্য যেন ক্ষতির কারণ না হয় এবং সে বিষয়ে যৌথ সমীক্ষার মাধ্যমে সামনে এগোতে চায় বাংলাদেশআর এটা এবারের জেআরসি বৈঠকের মূল ইস্যু হিসেবে আলোচনায় আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন যৌথ নদী কমিশনের এক সদস্য

ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশে পানির প্রবাহ কমতে থাকার প্রেক্ষাপটে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গা চুক্তি হয়আর চার বছর পরেই এ চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবেসেক্ষেত্রে আবার নতুন করে চুক্তি করতে হবেএবারের জেআরসিতে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির প্রসঙ্গটি আসবে বলে ইঙ্গিত রয়েছে।    

এ প্রসঙ্গে কমিশনের এক সদস্য জানান, এবারের আলোচনায় গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তিটি আমরা সামনে আনতে চাইএটা আলোচনা হবে২০২৬ সালের আগে যেন আমরা একটা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারিএবার আলোচনা হলে সেটা আমাদের জন্য আগাম প্রস্তুতি হতে পারেআমরা চুক্তিতে এবার আর সময় চাচ্ছি নামূল কথা হলো, আমরা সময়ভিত্তিক চুক্তি করতে চাই না

যেন ৩০ বছর, ৪০ বছর বা ২০ বছর পর আর নতুন করে নবায়নের বিষয়টা আর না আসেযতগুলো অভিন্ন চুক্তি যেমন- ভারত ও পাকিস্তানের যে চুক্তিগুলো হয়েছে, এগুলো সময়ভিত্তিক চুক্তি হয়নিআমরাও এবার চেষ্টা করব এই কৌশল অবলম্বন করতে, যেন আমাদের চুক্তিগুলো সময়ভিত্তিক না হয়

বহু বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেগত জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রথম দিল্লী সফরে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের সময় বিষয়টি উত্থাপন করেন তিনিতারপর ২০২১ সালের মার্চে নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফরে এলে সে সময়ও দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল তিস্তাসে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির কারণে তিস্তার অচলাবস্থা কাটছে না

×