ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএসে চাল বিক্রি

স্থিতিশীল হবে বাজার

তপন বিশ্বাস

প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ১৯ আগস্ট ২০২২

স্থিতিশীল হবে বাজার

১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএসে চাল বিক্রি

আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে খোলা বাজারে চাল বিক্রির কার্যক্রম (ওএমএস)একই সঙ্গে শুরু হচ্ছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীনবেম্বর পর্যন্ত চলবে এই খাদ্যবন্ধব কর্মসূচীঅভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়

এ ব্যাপারে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জনকণ্ঠকে বলেন, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে একযোগে ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছেতিনি বলেন, ওএমএস কর্মসূচীর মাধ্যমে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মোট ৪ হাজার টনের বেশি চাল বিক্রি করা হবেএর পাশাপাশি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী মিলে বিপুল পরিমাণ চাল বাজারে যাবেএতে বাজারে চালের ওপর চাপ কমবে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবেখাদ্যমন্ত্রী বলেন, আশাকরি চালের দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবেআউশ উঠতে যাচ্ছেসামনে আমন উঠবে

সূত্র জানায়, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের বিভিন্ন শহরে একযোগে ২ হাজার ১৩টি ডিলারের মাধ্যমে ওএমএসের কার্যক্রম চলবেপ্রতি ডিলার দিনে দুই টন করে চাল বরাদ্দ পাবেনএকজন ডিলার দিনে ৪০০ পরিবারের কাছে এই চাল বিক্রি করবেনএতে দিনে মোট ১৬ লাখ ১০ হাজার ৪০০ পরিবার ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন এই কর্মসূচীর মাধ্যমে

এছাড়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় সারা দেশে মোট ৫০ লাখ পরিবার সুবিধা পাবেনদেশের ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে এই কর্মসূচীর আওতায় আনা হয়েছে১৫ টাকা কেজি দরে তারা এই চাল সংগ্রহ করতে পারবেনএই কর্মসূচীর আওতায় এক পরিবার মাসে ৩০ কেজি করে চাল সংগ্রহ করতে পারবেন

এ ব্যাপারে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী একসঙ্গে চালু হলে আমি মনে করি চালের দাম স্থিতিশীল অবস্থায় চলে আসবেআমাদের সরকারী পর্যাপ্ত মজুদ আছে, আমরা তো মানুষের জন্যই মজুদ করিযারা এ চাল নিবে তাদের তো বাজার থেকে আর চাল কিনতে হবে নাসেখানে তো আমরা ভরসা করতেই পারি

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় বছরের কর্মাভাবকালীন ৫ মাস (মার্চ-এপ্রিল, সেপ্টেম্বর-নবেম্বর) পরিবার প্রতি ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হয়অন্যদিকে ওএমএস কর্মসূচীর আওতায় যে কেউ ডিলারের কাছ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল কিনতে পারেন

চালের দাম বাড়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এখন দুটি মৌসুমের সন্ধিক্ষণ, বোরো চলে গেছে, আমন আসবেঅনেক জায়গায় খরার কারণে মানুষ আমন লাগানো নিয়ে ভয়-ভীতিতে ছিলএর সঙ্গে পরিবহন ব্যয়ও বেড়েছেপরিবহন খরচের হারের চেয়ে চালের দামটা বেশি বেড়েছেসেখানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীও আছেএটা পরিষ্কার কথা, আমাদের অস্বীকার করার কিছু নেইতবে সেটাও আমরা মনিটরিং করছিঅবৈধ মজুদের বিষয়ে আমাদের তো নিয়মিত মনিটরিং আছেইসেটা আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে

তিনি আরও বলেন, আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে মাঠে নামতে বলেছিপাঁচটি মনিটরিং কমিটি হয়েছে আগেই, সেগুলো সক্রিয় হবেজেলা প্রশাসকদের এখানে বসেই নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তারা যাতে বাজারটা পুরোপুরি মনিটরিং করেনকোথাও অবৈধভাবে ধান ও চালের মজুদ থাকলে আগে যেভাবে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালানো হয়েছে সেভাবে চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে

×