
ছবি: প্রতীকী
বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক অস্থিরতা ও শক্তির প্রতিযোগিতার কারণে প্রতিরক্ষা শিল্পে ব্যাপক উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ, গাজায় চলমান সংঘর্ষ এবং বৃহৎ বিশ্বশক্তির মাঝে টানাপোড়েনের কারণে দেশগুলো তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়াচ্ছে। গত পাঁচ বছরে বিশ্বব্যাপী সামরিক ব্যয় প্রায় ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন।
এই আর্থিক বৃদ্ধির সঙ্গে প্রযুক্তিগত এক বিপ্লবও ঘটছে, তা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) উত্থান, যা সামরিক প্রযুক্তিতে নতুন যুগের সূচনা করেছে।
শীর্ষ AI প্রতিরক্ষা কোম্পানি ও তাদের বিশেষত্ব:
১. আন্দুরিল ইন্ডাস্ট্রিজ (Anduril Industries)
স্বয়ংক্রিয় ড্রোন ও ‘Lattice OS’ এর মাধ্যমে স্মার্ট যুদ্ধক্ষেত্র পরিচালনায় নেতৃত্ব দিচ্ছে।
২. শিল্ড এআই (Shield AI)
‘Hivemind AI’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে GPS ছাড়াই স্বয়ংক্রিয় ড্রোন তৈরি করে, যা সেনাবাহিনী ও সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দেয়।
৩. প্যালান্টির টেকনোলজিস (Palantir Technologies)
সামরিক তথ্য বিশ্লেষণ এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য উন্নত AI সফটওয়্যার সরবরাহ করে।
৪. স্কেল এআই (Scale AI)
বৃহৎ AI ডেটা অবকাঠামো এবং মডেল প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা খাতে সহায়তা করে।
৫. এপাইরাস (Epirus)
‘লিওনিডাস’ নামক উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোওয়েভ সিস্টেম দিয়ে শত্রু ড্রোনকে রিয়েল টাইমে নিষ্ক্রিয় করে।
৬. রিবেলিয়ন ডিফেন্স (Rebellion Defense)
হুমকি সনাক্তকরণ, সাইবার টেস্টিং এবং দ্রুত সামরিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য AI তৈরি করে।
৭. হেলসিং (Helsing)
জার্মান AI প্রতিষ্ঠান, যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোন ও তথ্য ব্যবহার করে সক্রিয় যুদ্ধময় এলাকায় কাজ করে।
৮. ভ্যানেভার ল্যাবস (Vannevar Labs)
বিদেশি সামরিক সংকেতকে রিয়েল-টাইম গোয়েন্দা তথ্য হিসেবে অনুবাদ করে মার্কিন বাহিনীর সহায়তায় কাজ করে।
৯. ফায়ারস্টর্ম (Firestorm)
দ্রুত মোতায়েনযোগ্য ও মডুলার ৩ডি-প্রিন্টেড কমব্যাট ড্রোন ডিজাইন করে, যা সহজেই স্কেল করা যায়।
বিশ্বের উত্তেজনাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ ও প্রযুক্তিগত উন্নতির যুগে AI প্রযুক্তি সামরিক শক্তিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। ২০২৫ সালে এই কোম্পানিগুলো প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির অগ্রণী হিসেবে দাপটের সঙ্গে আবির্ভূত হয়েছে এবং সামরিক সক্ষমতাকে এক নতুন দিগন্তে পৌঁছে দিয়েছে।
রাকিব