ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২

শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় প্রিয় হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ

শরিফুল রোমান

প্রকাশিত: ১০:১৬, ১৯ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১০:৩৫, ১৯ জুলাই ২০২৫

শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় প্রিয় হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দুরারোগ্য ক্যান্সারে ভুগে ২০১২ সালের আজকের দিনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পরে তাকে নুহাশপল্লীতে সমাহিত করা হয়। 


হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ই নভেম্বর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পরপরই খ্যাতি লাভ করেন তিনি। বাংলাদেশে পাঠকপ্রিয় এ লেখক দুই শতাধিক ফিকশন ও নন-ফিকশন বই লিখেছেন। 


হিমু, মিসির আলির মতো চরিত্র দিয়ে কোটি পাঠক-ভক্ত তৈরি করেছেন এই কথার জাদুকর। তাঁর লেখনীতে বাঙালির বিশেষ করে বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণির যাপিত জীবনের সুখ-দুঃখ, প্রেম, বেদনা, বিরহ অনন্য সুন্দরভাবে ফুটে উঠায়  আপামর জনসাধারণের কাছে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। ১৯৯০ ও ২০০০-এর দশকে একুশে বইমেলা মানেই ছিল হুমায়ূন আহমেদের একচেটিয়া রাজত্ব।


বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। বাংলা সাহিত্যে অসাধারণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ হুমায়ূন আহমেদকে একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, মাইকেল মধুসুদন পদক দেয়া হয়। 
নব্বই দশকের শুরুতে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আবির্ভাব ঘটে হুমায়ূন আহমেদের। নিজের উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে হুমায়ূনের পরিচালিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘আগুনের পরশমণি’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ ইত্যাদি। ‘আগুনের পরশমণি’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’ ও ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। তার পরিচালিত প্রতিটি নাটকও ছিল দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে। পাশাপাশি গান লিখেও সমাদৃত হয়েছেন সবার কাছে। 
মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় প্রিয় হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করছেন তার অগণিত ভক্তরা। 

সাব্বির

×