সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের সঙ্গে অতিথিরা
বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেমকন সাহিত্য পুরস্কার ২০২১ প্রদান করা হয় মঙ্গলবার বিকেলে। এবার জেমকন সাহিত্য পুরস্কার পেলেন কথাসাহিত্যিক আফসানা বেগম, কথাসাহিত্যক সঞ্জয় পাল এবং জেমকন তরুণ কবিতা পুরস্কার পেলেন মারুফা মিতা ও দিপন দেবনাথ। বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে জেমকন গ্রুপ কতৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের হাতে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পুরস্কারের স্বীকৃতিস্বরূপ আফসানা বেগমকে তার ‘কোলাহল থামার পরে’ উপন্যাসের জন্য ৫ লাখ টাকার চেক এবং ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়। সঞ্জয় পালকে তার ‘দ্বীপরাজ’ উপন্যাসের পা-ুলিপির জন্য এক লাখ টাকার চেক এবং সম্মাননা পত্র ও ক্রেস্ট প্রদানের ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে তিনি অসুস্থতার কারণে উপস্থিত হতে পারেননি। মারুফা মিতার কবিতার পা-ুলিপি ‘বোতামঘর’ ও দিপন দেবনাথকে ‘আদি ফসিলের গান’র জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়।
জেমকন গ্রুপের পরিচালক ড. কাজী আনিস আহমেদ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে এ অর্থমূল্য তুলে দেন। এ সময় তিনি বলেন, আমরা ২০০০ সালে কাগজ সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তন করি। পরে ২০০৭ সাল থেকে তা জেমকন সাহিত্য পুরস্কার নামে প্রতিবছর প্রদান করে আসছি। বাংলা সাহিত্যের সৃজনশীল লেখকদের সম্মানিত করার জন্যই মূলত এ পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে। জেমকন সাহিত্য পুরস্কার সৃষ্টিশীল লেখকদের প্রেরণা জোগাবে বলে আমার বিশ্বাস।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, প্রত্যাশাহীন কর্তব্য পালনের জন্য যদি পুরস্কার পাওয়া যায় তাহলে আনন্দের সীমা থাকে না। এটা আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি। রচনার পাঠযোগ্যতা সম্পর্কে স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে আমাদের গর্বিত করেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসামের অধ্যাপক ড. তপোধীর ভট্টাচার্য, কবি মোহাম্মদ সাদিক, কবি আসাদ মান্নান, ড. বনানী চক্রবর্তী, কবি নিখিলেশ রায়, কবি শামীম রেজা প্রমুখ। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন জেমকন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান নাবিল আহমেদ।
এ পর্যন্ত জেমকন সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন মামুন হুসাইন (২০০৩), শহীদুল জহির (২০০৪), সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম (২০০৬), সৈয়দ শামসুল হক (২০০৭), সেলিম আল দীন (২০০৮), নির্মলেন্দু গুণ (২০০৯), ওয়াসি আহমেদ (২০১০), পারভেজ হোসেন ( ২০১১), জাকির তালুকদার (২০১২), আহমাদ মোস্তফা কামাল (২০১৩), হাসান আজিজুল হক (২০১৪), সালমা বাণী (২০১৫), মঈনুল আহসান সাবের (২০১৬), মোহাম্মদ রফিক (২০১৭), প্রশান্ত মৃধা (২০১৮), শাহীন আখতার (২০১৯), মাসরুর আরেফিন (২০২০)।