
ছবি: সংগৃহীত
শিশুদের আচরণে হঠাৎ বড় ধরনের পরিবর্তন—যেমন হঠাৎ অতিরিক্ত রেগে যাওয়া, একা হয়ে পড়া বা অস্বাভাবিক চুপচাপ থাকা—অনেক সময় সাধারণ মনে হলেও এর পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে গভীর মানসিক সংকট। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এসব পরিবর্তন শিশুদের মনোসমস্যা বা মানসিক চাপের ইঙ্গিত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতো সরাসরি প্রকাশ করতে পারে না তারা কী অনুভব করছে। ফলে তাদের মনের উদ্বেগ, ভয় বা চাপের বহিঃপ্রকাশ ঘটে আচরণে পরিবর্তনের মাধ্যমে। শিশুর আচরণে হঠাৎ পরিবর্তন দেখা দিলে তা অবহেলা না করে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত। প্রাথমিকভাবে কিছু সংকেত বুঝে ব্যবস্থা নিলে বড় সমস্যাও এড়ানো সম্ভব।
শিশুর মনোসমস্যার ৪টি সাধারণ সংকেত:
১. অতিরিক্ত রাগ বা খিটখিটে মেজাজ
যেকোনো ছোট বিষয়েও চিৎকার, জিনিস ছুঁড়ে মারা বা মারধরের প্রবণতা শিশুর ভেতরে অস্থিরতা ও ভয়ের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে।
২. চুপচাপ হয়ে যাওয়া, একা থাকা
আগে যে শিশু চঞ্চল ছিল, হঠাৎ যদি চুপচাপ হয়ে যায় বা কারো সঙ্গে মিশতে না চায়, তাহলে সেটা দুশ্চিন্তার সংকেত হতে পারে। এটি অবসাদ বা মানসিক আঘাতের লক্ষণ।
৩. ঘুম ও খাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন
শিশু ঘুমাতে না চাওয়া, দুঃস্বপ্ন দেখা বা খাবার এড়িয়ে চলা মানসিক অস্থিরতার লক্ষণ হতে পারে।
৪. স্কুলে যেতে না চাওয়া বা লেখাপড়ায় আগ্রহ হারানো
যদি কোনো শিশু হঠাৎ স্কুলে যেতে না চায়, আগের মতো পড়াশোনায় মন না বসায়, তাহলে সেটা হয়তো মানসিক চাপের ফল।
করণীয় কী?
শিশুর সঙ্গে সময় কাটান এবং কথা বলুন
তাদের অনুভবকে গুরুত্ব দিন, ছোট করে দেখবেন না
শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন
প্রয়োজনে শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন
শিশুরা সবসময় মুখে কিছু বলবে না—তাদের অনুভব প্রকাশ পায় আচরণে। তাই বাবা-মা ও অভিভাবকদের উচিত, আচরণগত ছোট পরিবর্তনও গুরুত্ব দিয়ে দেখা। কারণ, সময়মতো সঠিক সহায়তা দিলে শিশুর মানসিক বিকাশ ও সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব।
ফারুক