
ছবি: সংগৃহীত।
মানুষের ব্যক্তিত্ব বিশ্লেষণে দীর্ঘদিন ধরেই মুখাবয়ব, চোখ, ঠোঁট বা হাঁটার ভঙ্গি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে এবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কানের গঠনও হতে পারে ব্যক্তিত্ব বোঝার এক আকর্ষণীয় মাধ্যম। আধুনিক ফেস রিডিং থিওরি ও প্রাচীন চীনা ‘মিয়ান শিয়াং’ পদ্ধতি অনুসারে, কানের আকৃতি ও গঠন অনেকাংশে ব্যক্তিত্বের ইঙ্গিত দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিটি কান যেমন আলাদা, তেমনি আলাদা মানুষের বৈশিষ্ট্যও। নিচে তুলে ধরা হলো কানের আকৃতি অনুযায়ী সম্ভাব্য ব্যক্তিত্বের রূপচিত্র:
বড় কান – আত্মবিশ্বাসের প্রতীক
যাদের কান বড়, তারা সাধারণত আত্মবিশ্বাসী, সাহসী ও সামাজিক স্বভাবের হন। তারা নেতৃত্ব দিতে পছন্দ করেন এবং নতুন অভিজ্ঞতায় উচ্ছ্বসিত থাকেন
ছোট কান – অন্তর্মুখী চিন্তাশীল
ছোট কানের অধিকারীরা বেশিরভাগ সময় শান্ত স্বভাবের হয়ে থাকেন। তারা আবেগপ্রবণ, সংবেদনশীল এবং আত্মবিশ্লেষণপ্রবণ হয়।
মোটা ও মাংসল কান – বাস্তববাদী ও ভাগ্যবান
মাংসল কানের মানুষেরা বাস্তববাদী, পরিশ্রমী ও দায়িত্বশীল হয়ে থাকেন। অনেক সময় এই কান ধন-সম্পদ ও সৌভাগ্যের প্রতীক বলেও বিবেচিত হয়।
পাতলা বা হালকা কান – কল্পনাশক্তিতে ভরপুর
এরা সৃজনশীল ও কল্পনাপ্রবণ হয়ে থাকেন। তবে বাস্তব জগতের সঙ্গে অনেক সময় ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন না।
উপরের দিকে বাঁকা কান – বুদ্ধিমত্তার ইঙ্গিত
এই গঠনের কানের মানুষরা উদ্যমী, সিদ্ধান্তক্ষম এবং চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করেন। তারা দ্রুত চিন্তা করতে সক্ষম।
নিচের দিকে ঝুলে থাকা কান – সহানুভূতিশীল ও ধৈর্যশীল
এই ধরনের মানুষ সাধারণত পারিবারিক, সহানুভূতিশীল এবং শান্ত স্বভাবের হন। তাঁরা সহযোগিতা করতে পছন্দ করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ব্যক্তিত্ব বিশ্লেষণ শতভাগ বৈজ্ঞানিক নয়। এগুলো চীনা লোকবিশ্বাস ও পুরাতন মুখাবয়ব বিশ্লেষণের অংশ। তবে বিনোদনমূলক এবং পর্যবেক্ষণমূলক দৃষ্টিকোণ থেকে কৌতূহলের খোরাক হতে পারে।
মানুষের ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠে তার পারিপার্শ্বিকতা, শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও মানসিক গঠনের ওপর ভিত্তি করে। কানের গঠন দেখে চরিত্র বিশ্লেষণ একটি মজার পর্যবেক্ষণ হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো নয়।
মিরাজ খান