ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ওষুধ ছাড়াই থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে! রইলো বিজ্ঞানসম্মত ঘরোয়া টিপস

প্রকাশিত: ১২:২৫, ২২ মে ২০২৫

ওষুধ ছাড়াই থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে! রইলো বিজ্ঞানসম্মত ঘরোয়া টিপস

ছবি: সংগৃহীত।

আজকাল অনেকেই থাইরয়েডজনিত সমস্যায় ভুগছেন। এই সমস্যা পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। হাইপোথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি) এবং হাইপারথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোনের অতিরিক্ততা)—এই দুটি অবস্থাই শরীরের বিপাকক্রিয়া, ওজন, মানসিক অবস্থা, চুল ও ত্বকের স্বাভাবিকতা প্রভৃতিকে প্রভাবিত করে।

যদিও থাইরয়েডজনিত সমস্যার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ জরুরি, তবে কিছু ঘরোয়া উপায়ও রয়েছে যা এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।

১. ধারে কাছে থাকুক আদা
আদা একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে। এতে থাকা জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম থাইরয়েড কার্যক্রম উন্নত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে গরম পানিতে আদা মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।

২. আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার
থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে আয়োডিন প্রয়োজন। তাই আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন আয়োডাইজড লবণ, সামুদ্রিক মাছ, সামুদ্রিক শৈবাল (seaweed), ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্য খাদ্যতালিকায় রাখা ভালো।

৩. সেলেনিয়াম ও জিঙ্কের উৎস গ্রহণ
সেলেনিয়াম থাইরয়েড হরমোনের রূপান্তর প্রক্রিয়ায় সহায়ক। বাদাম (বিশেষ করে ব্রাজিল নাট), ডিম, টুনা মাছ এবং সূর্যমুখীর বীজ এসব খাওয়ায় রাখা যেতে পারে। জিঙ্কও থাইরয়েডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যা পাওয়া যায় দুধ, মাংস ও বিভিন্ন শস্যে।

৪. নিয়মিত যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন
থাইরয়েডের ওপর মানসিক চাপের প্রভাব অনেক বেশি। নিয়মিত মেডিটেশন ও হালকা যোগাসন মানসিক প্রশান্তি এনে দিয়ে থাইরয়েড ফাংশন উন্নত করতে পারে।

৫. ক্যাফেইন ও চিনি কমানো
চা-কফির অতিরিক্ত গ্রহণ ও চিনি জাতীয় খাবার থাইরয়েডের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এগুলো পরিমাণে কমিয়ে শরীরকে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে হয়।

৬. তুলসী পাতা ও অশ্বগন্ধা
তুলসী ও অশ্বগন্ধার মতো আয়ুর্বেদিক উপাদান দীর্ঘদিন ধরেই হরমোন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর বলে বিবেচিত হয়ে আসছে। এগুলোর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও এডাপ্টোজেনিক বৈশিষ্ট্য দেহে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে।

থাইরয়েড একটি জটিল সমস্যা, তবে সঠিক জীবনযাপন ও কিছু প্রাকৃতিক উপায় মেনে চললে অনেক ক্ষেত্রেই এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে কখনোই ওষুধ বন্ধ করে শুধু ঘরোয়া পদ্ধতির ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে সঙ্গতিপূর্ণভাবে এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো গ্রহণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

নুসরাত

×