.
শ্রাবণের মেঘগুলো জড়ো হলো আকাশে, অঝোরে নামবে বুঝি শ্রাবণে ঝরায়ে...। নব্বই দশকে শিল্পী ডিফারেন্ট টাচ এর গাওয়া এই গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এখনও উৎসব-অনুষ্ঠানে শোনা যায় এ গান। আর শ্রাবণ এলেই এখনও এ গান গুনগুনিয়ে গেয়ে ওঠে আশি ও নব্বই দশকের নর-নারীরা। এবার আষাঢ়ের দিনগুলোতে রোদের ঝলকানি জনজীবন অতিষ্ঠ করে দিয়েছে। চলছে শ্রাবণ মাস। প্রায়ই নামছে অঝোরে বৃষ্টি। তবুও ভ্যাপসা গরম কমছে না। আবালবৃদ্ধবনিতা সবারই হাঁসফাঁস অবস্থা।
ড্রয়ার ঘেঁটে বের করছে পুরনো নরম পোশাক। কেউবা ছুটছে মার্কেটে আরামদায়ক পোশাক খুঁজতে। মাঝে মাঝে মনে হয় গ্রীষ্মের বিদায় ঘণ্টা এখনও বাজেনি। তাই এই গরমে আরাম পেতে বেছে নিতে পারেন স্লিভলেস পোশাক। ফ্যাশনের পাশাপাশি স্বস্তি দেয় এই পোশাক। চার-পাঁচ দশক আগে থেকেই স্লিভলেস পোশাক পরতে দেখা যেত ফ্যাশনপ্রেমী নারীদের। তখন শাড়িই ছিল বাঙালী নারীদের প্রধান পোশাক। সঙ্গে পরতো স্লিভলেস ব্লাউজ। বাঙালী নারীরা সবসময়ই শাড়িতে অনন্যা। আর সেই শাড়ির সঙ্গে যদি স্লিভলেস ব্লাউজ পরা হয় তবে সৌন্দর্য বেড়ে যায় বহুগুণ। শাড়ির সঙ্গে মানানসই ভিন্ন রঙের স্লিভলেস ব্লাউজ পরলে দেখতেও বেশ ফ্যাশনেবল লাগে। যেকোন ভাল শপিংমলেই পাওয়া যায় বিভিন্ন রঙ ও সুন্দর ডিজাইনের ব্লাউজ। এসব ব্লাউজ পাওয়া যাবে ৩০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে। আর যারা শাড়ি পরতে পছন্দ করেন না তারা পরতে পারেন কুর্তি, টপস বা কামিজ। তবে স্লিভলেস যেকোন পোশাকই সরু ও লম্বা হাতে ভাল মানায়। এ পোশাকের ছোট গলার কাট বা কলার গলাও ভাল লাগে।
মার্জিতভাবে যেকোন স্লিভলেস পোশাকই আপনাকে করবে ফ্যাশনেবল। দেশীয় ফ্যাশন হাউসে পাওয়া যায় পাশ্চাত্য মিশেলে নান্দনিক ড্রেস। যেহেতু তাপপ্রবাহ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তাই ভারি পোশাক এই সময়ে যতটা এড়ানো যায়। পরতে হবে ঢিলেঢালা আরামদায়ক সুতি কাপড়ের পোশাক। একই সঙ্গে আটসাট ভাব বাদ দিয়ে পোশাককে করতে হবে স্বাচ্ছন্দ্যময়।
বর্ষা বিলাসের জন্য অনেকে ছুটে যায় দূর-দূরান্তে আবার কেউ নিজ বারান্দায় এক কাপ ধোঁয়া ওঠা চায়ের সঙ্গে বৃষ্টির ছন্দ উপভোগ করেন। তবে তীব্র তাপপ্রবাহ সে যেন নাছোড়বান্দা, পিছু ছাড়ছে না। আর এই গরমে ভ্রমণের জন্য স্লিভলেস পোশাকের জুড়ি নেই। পোশাক আরামদায়ক হলে ঘুরতেও ভালোলাগে। স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে কেবল অভিজাত শ্রেণীর নারীরাই স্লিভলেস পোশাক পরতেন। বর্তমানে সকল শ্রেণীর নারীরাই পরছে এই ড্রেস। ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়েরা আবার অফিসগামী নারীরা অনেকেই পরছেন স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনি যে পোশাকটি পরছেন তা আপনার সঙ্গে কতটা মানানসই। যাদের হাত দেখতে মোটা লাগে তাদের স্লিভলেস এড়িয়ে চলাই ভাল।
বর্তমানে টিনএজদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে স্লিভলেস, কুর্তি, টপস। তাদের ভাললাগাকে প্রাধান্য দিয়ে ফ্যাশন ডিজাইনাররা তৈরি করছেন নান্দনিক ডিজাইনের পোশাক। দেশীদশ, লারিভ, আড়ংসহ যেকোন ফ্যাশন হাউসে পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দের পোশাকটি। এছাড়াও বসুন্ধরা শপিংমল, যমুনা ফিউচার পার্ক, মৌচাক, রাজধানী মার্কেটসহ যেকোন শপিং সেন্টারে গিয়ে খুঁজে নিন আপনার আরামের পোশাকটি। স্লিভলেস কুর্তি, টপসের ভিতরে অতিরিক্ত হাতার কাপড় দেয়া থাকে। তাই যারা স্লিভলেস পোশাকে অভ্যস্ত নন। তারা পরতে পারেন ছোট হাতার পোশাক। কাপড় ও ডিজাইনভেদে দামে তারতম্য থাকে। তবে ভালোমানের টপস, কুর্তি পাওয়া যায় ১ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যেই।