
শুল্ক কমাতে যুক্তরাষ্ট্রকে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিচ্ছে ঢাকা
শুল্ক ইস্যুতে কঠোর অবস্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রকে নমনীয় করতে একগুচ্ছ প্রস্তাব পাঠাচ্ছে ঢাকা। যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়াগুলো যতটা সম্ভব পূরণের আশ্বাস থাকছে এ প্রস্তাবনায়। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে কোনোরূপ সামরিক সংশ্লিষ্টতায় না জড়ানো, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ কমিয়ে আনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বেশকিছু উদ্যোগের কথা থাকছে এই প্রস্তাবনায়। থাকবে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধার অফার এবং তুলা, গম, অস্ত্র এবং বোয়িং বিমান ক্রয়ের আগ্রহের কথাও।
আজ সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মার্কিন কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিক চিঠিতে এসব বিষয় অবহিত করে শুল্ক ইস্যুতে তৃতীয় দফা আলোচনার জন্য সময় চাওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রথম ও দ্বিতীয় দফার আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শুল্ক সমঝোতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৃতীয় দফায় আলোচনা বসতে বারবার সময় চেয়ে আসছে বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় দফায় আলোচনায় বসতে রাজি থাকলে এ জন্য সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ এখনো জানায়নি মার্কিন বাণিজ্য দপ্তর (ইউএসটিআর)। তৃতীয় ও চূড়ান্ত দফা আলোচনার সময়সূচি চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো ই-মেইলের জবাবে আরও অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নিজের অবস্থান আরও স্পষ্ট করে আজ সোমবার আরও একটি চিঠি দিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আকর্ষণীয় হবে এমন কিছু তথ্য চিঠিতে সংযুক্ত করতে গিয়ে গত কয়েক দিনে দফায় দফায় বৈঠক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রতিনিধিও যুক্ত ছিলেন এসব বৈঠকে। তবে প্রধান উপদেষ্টার মতামত না পাওয়ায় জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত কিছু সিদ্ধান্তের বিষয় এসব বৈঠকে চূড়ান্ত হয়নি বলে সূত্র উল্লেখ করে। যদিও সমকিছু চূড়ান্ত করে আজ-কালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রস্তাবনা যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে বলে সূত্র উল্লেখ করে।
সূত্রমতে, রবিবার অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত বৈঠকে বাণিজ্যসংক্রান্ত ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অ-বাণিজ্যসংক্রান্ত বিষগুলোতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টার মতামত চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত পারস্পরিক শুল্ক সংক্রান্ত একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের বিষয়ে দেশটির বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তরের (ইউএসটিআর) সঙ্গে তৃতীয় দফার আলোচনা শুরুর আগে দেশের ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ ও বিভিন্ন মন্ত্রণায়ের মতামত নেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সক্রিয়ভাবে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসারত মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে। বাংলাদেশ থেকে মোটা অংকের তৈরি পোশাক আমদানি করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বিশেষ সুবিধায় এদেশে কারখানা স্থাপনের জন্য। এর ফলে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে বিদ্যমান ঘাটতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেওয়া কিছু শর্তের সঙ্গে একমত না হওয়ায় চলমান আলোচনার মধ্যেই গত ৩ জুলাই চিঠি পাঠিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। চিঠিতে চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিতে ৩৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এটি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল বুধবার (৯ জুলাই) থেকে। এপ্রিল মাসে ঘোষণা দেওয়া ৩৭ শতাংশের তুলনায় তা সামান্য কম হলেও বর্তমান গড় শুল্কের (প্রায় ১৫ শতাংশ) তুলনায় এটি দ্বিগুণেরও বেশি।
একই দিনে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প ঘোষিত এই নতুন শুল্ক কার্যকর হলে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের বর্তমানের ১৫ শতাংশসহ মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। নতুন শুল্ক কার্যকর হলে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য পাঠাতে হলে এখন প্রতি ১০০ টাকায় ৫০ টাকা শুল্ক দিতে হবে। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর কেবল তৈরি পোশাকই রপ্তানি হয় প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এই খাতের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক এবং দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ১০ শতাংশ অবদান রাখে এটি।
সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, বাড়তি শুল্ক কার্যকর হলে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা হারিয়ে শত শত কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে, চাকরি হারাবে লাখ লাখ শ্রমিক।
৫০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে মার্কিন ক্রেতারা বাংলাদেশি পোশাক কিনতে আগ্রহ হারাবে মন্তব্য করে চট্টগ্রামের ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, এতে রপ্তানিতে বড় ধস নামতে পারে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, এর প্রভাব ইউরোপের বাজারেও পড়তে পারে। কারণ, তখন ইউরোপের অনেক ক্রেতা এ সুযোগে দাম কমানোর চাপ তৈরি করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্রুত ও ফলপ্রসূ আলোচনা না হওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চরম নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। যাদের ব্যবসা যুক্তরাষ্ট্রনির্ভর এই সিদ্ধান্ত তাদের পথে বসাবে।
বিশ্লেষকদের মতে, সময়মতো প্রস্তুতি না নেওয়া, কার্যকর লবিং না হওয়া এবং কৌশলগত দূরদর্শিতার ঘাটতিই প্রথম ও দ্বিতীয় দফা শুল্ক সমঝোতা আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার কারণ। তাদের মতে, আলোচনার শুরুটা যত আশাব্যঞ্জক ছিল, শেষটা ততটাই হতাশাজনক। তবে আশা ছাড়েনি সরকার। তাছাড়া চীনকে আটকাতে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি তৈরি করেছে। তাইওয়ান নিয়ে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে।
সামনে যদি তাইওয়ান নিয়ে চীনের সঙ্গে কোনো যুদ্ধ হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তার বন্ধু কে হবে, তার সঙ্গে কে থাকবে, এগুলো নিয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে। এই বাস্তবতায় যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশ তাদের পক্ষে থাকুক। যুক্তরাষ্ট্র চাইবে এখন বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের যে ধরনের সামরিক সহযোগিতা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আছে, সেগুলো থেকে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে সরে আসুক।
মূল সমস্যা ভূ-রাজনীতি ॥ বিশ্লেষকদের মতে, বিপুল অংকের বাণিজ্য ঘাটতির পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথার মূল কারণ ভূ-রাজনীতি। চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের ভূ-রাজনৈতিক টানাটানিতে বাংলাদেশের এখন চিড়েচ্যাপ্টা হওয়ার উপক্রম। এমন পরিস্থিতিতে শুল্ক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহজ সমঝোতায় যাওয়া তেমন সহজ নয় মন্তব্য করে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজেস ইনস্টিটিউটের (বিইআই) সভাপতি এম হুমায়ুন কবীর বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় আপৎকালীন ব্যবস্থার মাধ্যমে এই শুল্কযুদ্ধ শুরু করেছে।
তারা ন্যাশনাল ইমার্জেন্সির কথা বলেছে। এর অর্থ হচ্ছে তারা সব জাতীয় সক্ষমতাকে এখানে একত্র করেছে। কিন্তু আমাদের দিক থেকে কেবল শুল্কটাকেই দেখছি। আমরা কি যুক্তরাষ্ট্রের মতো জাতীয় পর্যায়ের কোনো উদ্যোগ নিয়েছি? যুক্তরাষ্ট্র কী কী উদ্দেশ্য নিয়ে শুল্কযুদ্ধ চালাচ্ছে, সেদিকে নজর দিলেই তো বোঝা উচিত আমাদের আসলে কী করা দরকার ছিল।
তিনি বলেন, আমরা এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তির ব্যাপারে দর-কষাকষি করছি। এ ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমাদের অবস্থান তুলে ধরতে পারি। প্রথমত চীন যেসব জায়গায় বিনিয়োগ করে, সেসব জায়গায় কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ করে না। চীন প্রধানত অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করে। আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যুক্তি তুলে ধরি যে অবকাঠামোতে তোমাদের বিনিয়োগ নেই, এ খাতে আমরা কেন চীনা বিনিয়োগ নেব না।
আমি আশা করি, যুক্তিসংগতভাবেই যুক্তরাষ্ট্র সেটা মেনে নেবে। দ্বিতীয়ত, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি যে চীনের সঙ্গে আমরা অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখলেও মার্কিনদের ভূকৌশলগত কোনো ক্ষতি হয়, তেমন কাজ বাংলাদেশ করবে না। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে শঙ্কা, সেটা কমিয়ে আনতে যুক্তি দিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারি।
ভালো ফলের সম্ভাবনা কম ॥ এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান শুল্ক আলোচনায় হতাশা প্রকাশ করে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ রবিবার ঢাকায় আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় বলেছেন, আমরা যাদের কাছে রপ্তানি করি, এমন বড় বড় ব্র্যান্ড যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে চলমান ট্যারিফ নেগোসিয়েশনের বিষয়ে খোঁজখবর রাখছে এবং লবিং করছে, তাদের অনুমান আমরা ভালো রেজাল্ট পাব বলে মনে হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমরা যখন সরকারের সঙ্গে কথা বললাম, লবিস্ট নিয়োগ করার জন্য বললাম, প্রধান উপদেষ্টার অফিসে মেসেজ পাঠালাম, আমাদের এক পর্যায়ে বলা হলো ৯৫ শতাংশ সমাধান হয়ে গেছে। আমাকে একটা ব্র্যান্ডের পক্ষ থেকে মেইল পাঠানো হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে, আগামী ১ তারিখ থেকে যে প্রোডাক্ট তৈরি করা হবে, সেখানে নতুন ট্যারিফ থাকলে আমি কত শতাংশ শেয়ার করব, সেটি তাকে জানানোর জন্য। ওই ক্রেতার কাছে আমার রপ্তানি ৮০ মিলিয়ন ডলার। সেখানে আমি ইনকাম করি ১.৩৭ মিলিয়ন ডলার। ৮০ মিলিয়ন ডলার থেকে যদি ৩৫ শতাংশ শেয়ার করি, তাহলে তার জন্য কী থাকবে বলে প্রশ্ন তোলেন আজাদ?
একই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান বলেছেন, বাংলাদেশের দরকষাকষির অভিজ্ঞতা নেই। পাল্টা শুল্ক বিষয়ে অন্য দেশের তুলনায় আমাদের দরকষাকষি হতাশ করেছে। নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট (এনডিএ) থাকা সত্ত্বেও মালয়েশিয়া জটিল ইস্যুগুলো নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা জটিল। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ভারতের সঙ্গেও রয়েছে নানান জটিলতা। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূকৌশলগত অবস্থান ও চিন্তাভাবনার সঙ্গে আমাদের ভারসাম্য রক্ষা করতে হয়।
বিশ্বায়নের এই নতুন পর্বে যেখানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে বাংলাদেশকে বুঝতে হবে ভূরাজনৈতিক সুবিধা কোথায় আছে। কোন কোন পণ্যে বা খাতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ইতিবাচক অবস্থান নিতে পারি। এমন বিষয় নিয়ে এখানে আলোচনা করছি, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অর্থনীতি, বিশেষ করে রপ্তানিনির্ভর শিল্পের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
রপ্তানি বেড়েছে ২১.৬ শতাংশ ॥ এদিকে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক তৈরি পোশাক আমদানিতে ৭.০৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও বাংলাদেশ থেকে দেশটিতে পোশাক রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ প্রবৃদ্ধি আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে অনেক ভালো। চলতি বছরের গত জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩.৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১.৬০ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে, একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে মোট পোশাক আমদানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৭.০৬ শতাংশ, যার পরিমাণ ৩১.৭০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের এই প্রবৃদ্ধির বিপরীতে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানি ১০.০২ শতাংশ কমে গেছে। অন্যদিকে ভারত ১৬.৯৬ শতাংশ, পাকিস্তান ২১.৫৮ শতাংশ, ভিয়েতনাম ১৬.৩৩ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ১৩.৫৫ শতাংশ এবং কম্বোডিয়া ১৭.৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
প্যানেল হু