
ছবি: সংগৃহীত
তবে কি ইরানের দিকে ধেয়ে আসছে আরও একটি সামরিক অভিযান? যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে যেন সেই আশঙ্কাই আরও দৃঢ়ভাবে সামনে এলো। গত ১৯ জুলাই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ ট্রাম্প সরাসরি হুমকিস্বরূপ বলেন— ইরান যদি নতুন কোনো পারমাণবিক স্থাপনা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
ট্রাম্প তাঁর পোস্টে আরও দাবি করেন, “ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ইতোমধ্যেই সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে। এসব স্থাপনাগুলো আবার চালু করতে ইরানের বছরের পর বছর সময় লেগে যাবে। তবে যদি তারা তা পুনরায় গড়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তিনটি ভিন্ন স্থানে আবারও হামলা চালানো হবে।”
‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ সফল না ব্যর্থ?
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের ঠিক আগেই যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলোর মধ্যে মাত্র একটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। বাকি দুটি স্থাপনায় খুব সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যা কয়েক মাসের মধ্যে আবারও চালু করা সম্ভব।
এ নিয়ে হোয়াইট হাউসের ভিন্ন বক্তব্য রয়েছে। ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আনাকেলি বলেছেন, ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামক সামরিক অভিযানে ইরানের পারমাণবিক ক্ষমতা পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন গোয়েন্দা বিশ্লেষণ কী বলছে?
তবে ২৫ জুন সিএনএনের এক প্রতিবেদনে মার্কিন গোয়েন্দা বিশ্লেষণকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল অবকাঠামো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা সম্ভব হয়নি। বরং হামলার ফলে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম মাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে গেছে।
পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেক্সেদ নতুন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দাবি করেন, ২২ জুন রাতে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো হামলায় ফোরদো, নাতানস এবং ইস্পাহান—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে।
হোয়াইট হাউস আরও জানিয়েছে, ইরান হামলার আগে এসব কেন্দ্র থেকে পারমাণবিক উপকরণ সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছিল। ফলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা আরও বেশি হয়েছে।
শেখ ফরিদ