
ছবি: সংগৃহীত
ভবিষ্যৎ যুদ্ধে কেবল সেনাবাহিনী, ট্যাংক কিংবা গোলাবারুদ ব্যবহার করেই শত্রুদের মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। প্রয়োজন পড়বে পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ানো রণকৌশল ও আধুনিক সমরাস্ত্রের। সে উদ্দেশ্যেই এক ধাপ এগিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শত্রুপক্ষকে মোকাবিলায় ইরানের আলোচিত একটি ড্রোনের আদলেই মার্কিন প্রশাসন তৈরি করল নতুন আরেকটি ড্রোন। যার মাধ্যমে আধুনিক যুদ্ধের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু হঠাৎ ইরানকে অনুসরণ করলো কেন যুক্তরাষ্ট্র?
মুখে বলে যুদ্ধ চাই না, তবে অন্তরে যেন বিষ রোপণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় সংঘাত বাঁধিয়ে দেওয়ার পেছনে প্রায়ই খলনায়কের ভূমিকায় থাকে মার্কিন প্রশাসন।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের যুদ্ধ কিংবা ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের চরম আগ্রাসন—সবকিছুতেই দফাদারির ভূমিকায় যুক্তরাষ্ট্র। আর এসব দেশকে অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
তাই তো ইসরাইলের মতো বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর জন্য দফায় দফায় সমরাস্ত্র তৈরি করেই চলেছে হোয়াইট হাউস।
এবার ইরানের আলোচিত শাহেদ ১৩৬ কামিকাজে ড্রোনের আদলেই নতুন একটি ড্রোন তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যার তত্ত্বাবধানে ছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। যুদ্ধের ময়দানে শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করতে এরই মধ্যে ড্রোনটি উন্মোচনও করে ফেলেছে মার্কিন প্রশাসন।
১৯ জুলাই, এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মেহের নিউজ এজেন্সি।
ভবিষ্যৎ যুদ্ধে সাশ্রয়ী মূল্যের অস্ত্র ব্যবহার করতেই "লুকাস" নামের নতুন এই ড্রোনটি তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ড্রোনটি উন্মোচনের সময় উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেক্সেব।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নতুন এই ড্রোনটি তৈরি করেছে। নতুন এই ড্রোনটি তৈরির পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের মূল উদ্দেশ্য—ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করা।
বিভিন্ন ধরনের মিশন পরিচালনা করতেই শাহেদ সিরিজের আদলে তৈরি এই ড্রোনটি ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন পিট হেক্সেব। অদূর ভবিষ্যতে মার্কিন ও মিত্র বাহিনীর হয়ে যুদ্ধের মাঠে লড়বে লুকাস নামের এই ড্রোনটি।
এর আগে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়তে রাশিয়ার সামরিক বহরে ইরানের তৈরি শাহেদ ১৩৬ ড্রোন যোগ দিয়েছে বলে অভিযোগ করে পশ্চিমারা।
এমনকি ইউক্রেনের একটি অঞ্চল থেকে ড্রোনটি উদ্ধারের দাবিও করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি রাশিয়া ও ইরান।
শেখ ফরিদ