ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের পর পুতিন-খামেনি উপদেষ্টার গোপন পারমাণবিক বৈঠক!

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ২০ জুলাই ২০২৫

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের পর পুতিন-খামেনি উপদেষ্টার গোপন পারমাণবিক বৈঠক!

ছবি: সংগৃহীত।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রোববার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী হোসেইনি খামেনির শীর্ষ উপদেষ্টা আলী লারিজানির সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক করেছেন বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। পুতিন ও লারিজানি মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ঘিরে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন বলে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

পেসকভ বলেন, পুতিন এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার পক্ষে এবং ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়গুলোর রাজনৈতিক সমাধান চায় বলে পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

এদিকে ইরান জানিয়েছে, তারা যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানির সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসার ব্যাপারে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। রোববার আধা-সরকারি সংবাদমাধ্যম তাসনিম এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েলের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার আলোচনাগুলো স্থবির হয়ে পড়েছে। ইরানি কর্মকর্তারা ভবিষ্যতে আর কোনো হামলার আশঙ্কা রুখতে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশগুলোর কাছ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দাবি করেছেন। কারণ, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছিল।

এর আগে এই সপ্তাহেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলের ‘অপরাধের অংশীদার’ বলে আখ্যায়িত করেন এবং ইসরায়েলকে “ক্যানসারাস টিউমার” ও যুক্তরাষ্ট্রের “গলায় লাগানো কুকুর” বলে অভিহিত করেন।

রয়টার্স জানায়, এই মন্তব্যগুলো আসে মাত্র কয়েক দিন পরই, যখন ইসরায়েল ও ইরান দুই সপ্তাহব্যাপী সংঘাতের পরে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায়। সেই সংঘাতে দু’পক্ষই একে অপরের ওপর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

খামেনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের পোষা কুকুর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করা গৌরবজনক,” এবং ইরান তার প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে আরও বড় আঘাত হানার সামর্থ্য রাখে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরান নতুন করে যদি সামরিক হামলার শিকার হয়, তবে তার উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত।

উল্লেখ্য, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে বিশাল ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রযুদ্ধের ইতি ঘটেছে সম্প্রতি। এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ১৩ জুন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে থামাতে ইসরায়েলের আকস্মিক হামলার মাধ্যমে। ১২ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলা এই অভিযানে ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানীসহ অন্তত ১,০৬০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইরানি কর্মকর্তারা।

 

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

মিরাজ খান

×