
ছবি: সংগৃহীত
ফুকুশিমার তেজস্ক্রিয়তা মুক্ত (ডিকনটামিনেটেড) কিন্তু সামান্য রেডিওঅ্যাকটিভ মাটি শনিবার (১৯ জুলাই) জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা-র অফিস প্রাঙ্গণে পাঠানো হয়েছে, যা পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের মাঝে এর নিরাপত্তা প্রমাণের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০১১ সালের বিধ্বংসী ভূমিকম্প ও সুনামির পর ফুকুশিমা দায়ইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে, ফলে বিপুল পরিমাণ তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে এবং আশপাশের অঞ্চল মারাত্মকভাবে দূষিত হয়। ওই ঘটনার পর এই প্রথম পরীক্ষার বাইরে কোনো সরকারি স্থাপনায় এই মাটি ব্যবহার করা হলো।
সরকার চাইছে জনগণের মধ্যে ১৪ মিলিয়ন কিউবিক মিটার ডিকনটামিনেটেড মাটি (১১টি বেসবল স্টেডিয়াম ভরতে পারে) রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহারের বিষয়ে আস্থা গড়ে তুলতে। এই বিপুল পরিমাণ মাটি ফুকুশিমার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে বিশাল আকারের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শেষে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ২০৪৫ সালের মধ্যে এই মাটিগুলো ফুকুশিমার বাইরে স্থায়ীভাবে নিষ্পত্তি করা হবে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, টোকিওর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চত্বরে প্রেরিত দুই কিউবিক মিটার মাটি ব্যবহৃত হবে লন বা ঘাসের বাগানের একটি অংশের ভিত্তি নির্মাণে। এই ব্যবহারের জন্য আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (IAEA) অনুমোদিত নিরাপত্তা নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই মাটির মধ্যে ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের ভেতরের কোনো অংশের মাটি নেই।
তবে সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়েও ব্যাপক জন-অসন্তোষ বিরাজ করছে। আগে টোকিও এবং আশপাশের বিভিন্ন পার্কে ফুলের বাগানে এই মাটি ব্যবহার করে পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালানোর চেষ্টা করেছিল সরকার, কিন্তু প্রবল জনবিক্ষোভের মুখে সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়।
মুমু ২