
চীনের আকাশ ও সাগরে আবারও শক্তির প্রদর্শন ঘটেছে, যা বিদেশী যুদ্ধবিমানকে আকাশে পালাতে বাধ্য করেছে। দেশটির দুটি অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী— সান্ডং এবং লিয়াউনিং— কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে নিজেদের মহড়া চালাচ্ছে। এর ফলে, জাপান এবং ফিলিপাইনসহ প্রতিবেশী দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
চীনের সামরিক বাহিনী বিশেষত জেফ টি যুদ্ধবিমান দিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে। লিয়াউনিং রণতরীও আধুনিক যুদ্ধবিমানে সজ্জিত, যার ফলে তাদের বিরুদ্ধে যেকোনো বিদেশী বিমানের জন্য টিকে থাকা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিজিনপিং এর অধীনে চীনা বাহিনী তাদের শক্তি প্রদর্শন করছে, যেখানে বিদেশী বিমানগুলো এক মিনিটও টিকতে পারছে না।
জাপান, যা সমুদ্রের নিরাপত্তায় চিন্তিত, অভিযোগ জানিয়েছে যে চীনের বিমানবাহী রণতরীগুলি তাদের বিমান ও জাহাজের নিকটবর্তী হয়ে যাচ্ছে, কখনও কখনও একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্য দিয়ে চলাচল করছে। সেরকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল ৭ জুন, যখন চীনা যুদ্ধবিমান ৪০ মিনিট ধরে জাপানি নজরদারী বিমানটিকে অনুসরণ করেছিল। পরবর্তী দিনেও এটি দ্বিগুণ সময় ধরে জাপানি বিমানটির কাছাকাছি উড়েছিল।
জাপান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চীনা বাহিনীর কার্যকলাপ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং জানিয়েছে, ২৫ মে থেকে ৫০০ বার চীনা যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারের অবতরণ ও উড্ডয়ন তারা পর্যবেক্ষণ করেছে। এই পরিস্থিতি জাপানকে শঙ্কিত করছে, কারণ চীনের দুই বিমানবাহী রণতরী তাদের অদূরবর্তী দ্বীপপুঞ্জের কাছে এসে তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে।
এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিনজিয়ান জানান, চীনের সামরিক কার্যক্রম আন্তর্জাতিক আইন ও অনুশীলনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি দাবি করেন, "জাপানের ঘনিষ্ঠ নজরদারী সামুদ্রিক এবং আকাশ নিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি করছে।" চীন জাপানকে এই ধরনের বিপদজনক কার্যক্রম বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে, কারণ এটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।
এ ঘটনাগুলি সাগরের আধিপত্য নিয়ে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, যেখানে শুধু জাপান নয়, যুক্তরাষ্ট্রও উদ্বিগ্ন। চীনের সাগরীয় শক্তি প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যাচ্ছে।
রাজু