
যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা সম্প্রতি একটি বড় মাইলফলক স্পর্শ করেছেন, যেখানে তারা জাতীয় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিল পাশ করেছেন। এই বিলের মাধ্যমে দেশের ক্রিপ্টোকারেন্সি শিল্পের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
বিবিসির রিপোর্ট অনুসারে, বছরের পর বছর ধরে ক্রিপ্টো বা ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য কংগ্রেসে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন একাধিক পক্ষ। তাদের মধ্যে এমন কিছু প্রার্থীও রয়েছেন, যারা গত বছরের নির্বাচনে ক্রিপ্টোর পক্ষে প্রচারণা চালাতে কোটি কোটি ডলার খরচ করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত নামটি ছিলো সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নতুন এই বিলটি বিশেষভাবে স্টেবল কয়েন নামক একটি ক্রিপ্টোকারেন্সির জন্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। স্টেবল কয়েন এক ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা, যা সাধারণত নগদ অর্থ জমা রাখার জন্য বা অন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনার কাজে ব্যবহৃত হয়। এই কয়েনগুলোর পেছনে থাকে সরকারি বন্ড, যেমন ইউএস ট্রেজারি, যা তাদের মূল্য নিশ্চিত করে। প্রতি একটি স্টেবল কয়েনের পেছনে রাখা থাকে এক ডলার বা সমপরিমাণ সরকারি মুদ্রা।
শুক্রবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিলটিতে স্বাক্ষর করেছেন। এ সময় তিনি খাত সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে বলেন, "এই বিল তাদের কঠোর পরিশ্রম এবং অগ্রণী মনোভাবের একটি বড় স্বীকৃতি।"
এই বিলটি "জিনিস" নামে পরিচিত এবং এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থিত তিনটি ক্রিপ্টোকারেন্সি আইনের মধ্যে একটি। "জিনিস" এবং "ক্লারিটিঅক্ট" নামে পরিচিত এই দুটি বিলই উল্লেখযোগ্য দ্বিদলীয় সমর্থন পেয়েছে, যা নতুন একটি যুগের সূচনা করবে ক্রিপ্টোকারেন্সি শিল্পের জন্য।
রাজু