
ছবি: সংগৃহীত।
শনিবার এক টেলিফোন আলাপে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানকে বলেন, “ইরান তার নীতিগত অবস্থান অনুসারে সবসময় এমন যেকোনো পদক্ষেপকে সমর্থন করে, যা শান্তি ও নিরাপত্তা জোরদারে সহায়ক।”
তিনি আরও বলেন, “ইতিহাসজুড়ে ইরান কখনোই যুদ্ধ বা অস্থিরতা চায়নি বরং অঞ্চলটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।”
পেজেশকিয়ান অভিযোগ করেন, “আমরা যখন শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা চালাচ্ছিলাম, তখন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও আইনের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন করে আমাদের ওপর হামলা চালায় ইহুদি রাষ্ট্র (সায়নিস্ট রেজিম)। এরপর যুক্তরাষ্ট্র এই রেজিমের সঙ্গে পূর্ণ সমন্বয়ে আমাদের বৈধ পরমাণু স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালায়।”
ইরানি প্রেসিডেন্ট কিছু দেশ কর্তৃক ইহুদি রাষ্ট্রের যুদ্ধবাজি, গণহত্যা ও আগ্রাসনের প্রতি দ্বৈতনীতি গ্রহণেরও সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, “গাজায় আজ যা ঘটছে—নারী ও শিশুদের হত্যা, গণহত্যা, এবং পানি, খাদ্য ও ওষুধের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেওয়া—তা আন্তর্জাতিক কোনো আইন, নৈতিকতা বা মানবিক মানদণ্ডের সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”
আরও বক্তব্যে পেজেশকিয়ান বলেন, ইরান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক ইতিহাসনির্ভর, বন্ধুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক। তিনি যোগ করেন, “আমাদের নীতিমালা হলো প্রতিবেশী সব দেশের সঙ্গে গঠনমূলক পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখা এবং প্রতিটি দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা। আমরা ইরান-আর্মেনিয়া সম্পর্ক ও পারস্পরিক যোগাযোগ জোরদারে জোর দিচ্ছি।”
পাশিনিয়ানও ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে তার দেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বলেন, “আমরা অধীর আগ্রহে আপনার আর্মেনিয়া সফরের অপেক্ষায় আছি, যাতে আমরা একত্রে বসে দুই দেশের সহযোগিতা ও সম্পর্ক উন্নয়নের পথ নিয়ে আলোচনা করতে পারি।”
সূত্র: মেহর নিউজ
মিরাজ খান