
হোয়াটসঅ্যাপ
গত মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাষ্ট্রীয়ভাবে নতুন একটি ম্যাসেজিং অ্যাপ তৈরির জন্য একটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন। পাশাপাশি মস্কো হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ফেলছে।
রাশিয়ার আইটি সেক্টর নিয়ন্ত্রণের একজন আইনপ্রণেতা জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপকে রাশিয়ার বাজার থেকে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া উচিত। শুক্রবার (১৮ জুলাই) তিনি সতর্ক করে বলেন, মেটার মালিকানাধীন এই ম্যাসেজিং অ্যাপকে সীমাবদ্ধের তালিকায় রাখা হতে পারে।
রাশিয়ার সংসদের নিম্নকক্ষের তথ্যপ্রযুক্তি কমিটির উপপ্রধান অ্যান্তন গোরেলকিন টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, যদি হোয়াটসঅ্যাপ রাশিয়া ছেড়ে চলে যায়, তবে রাষ্ট্র-সমর্থিত অ্যাপ ম্যাক্স বাজারের বড় অংশ দখলে নিবে।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার বাজার থেকে হোয়াটসঅ্যাপের চলে যাওয়ার এখন সময়। কারণ মেটার এই প্লাটফর্মকে রাশিয়া চরমপন্থি সংস্থা হিসেবে অভিযুক্ত করেছে।
২০২২ সাল থেকে রাশিয়াতে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার বন্ধ রয়েছে। ওই সময়ে ইউক্রেনে মস্কো প্রায় ১০ হাজার সেনা পাঠায়।
এদিকে রাশিয়ার এমন পদক্ষেপের বিষয়ে মেটা তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
চলতি সপ্তাহে রুশ আইনপ্রণেতারা বড় পরিসনে আইনি সংশোধন এনেছেন। যার মধ্যে রয়েছে- সরকার যেসব বিষয়কে চরমপন্থা হিসেবে তালিকাভূক্ত করেছে তা দিয়ে যদি কেউ অনলাইনে কিছু খোঁজ করে তাহলে তাকে ৫ হাজার রুবেল জরিমানা করা হবে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের পাশাপাশি রাশিয়ার বিরোধী রাজনীতিবিদ এবং অধিকারকর্মীদেরকেও চরমপন্থি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে অনেকেই এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়া নির্বাহী মার্গারিতা সিমোনিয়ান বলেছেন, এর ফলে সাংবাদিকরা এখন বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রম তদন্ত করতে পারবেন না, যেমন মারা যাওয়া বিরোধী নেতা আলেক্সেই নাভালনির দুর্নীতিবিরোধী ফান্ডের মতো সংগঠনগুলো।
রুম পার্লামেন্টের আইটি কমিটির একজন সদস্য অ্যানটন নেমকিন বলেন, রাশিয়ায় হোয়াটসঅ্যাপের ভাগ্য এখন পূর্বনির্ধারিত।
নেমকিনের উদ্ধৃতি দিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম তাস জানিয়েছে, রাশিয়ার ডিজিটাল স্পেসে এই ধরনের পরিষেবার উপস্থিতি প্রকৃতপক্ষে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি আইনি লঙ্ঘন।
খবর রয়টার্স
তাসমিম