
ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের লাহোর শহরে ইরানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ও ইসরায়েলি আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরে ‘উম্মতে মোস্তফা (সা.) জাগরণ আন্দোলনের’ ব্যানারে আয়োজিত এই বিক্ষোভ মিছিলে ইরান ও প্রতিরোধ ফ্রন্টের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানানো হয়।
মিছিলটি পাঞ্জাব রাজ্য সংসদ ভবন থেকে শুরু হয়ে লাহোরে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেলের সামনে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল ইরান, পাকিস্তান এবং প্রতিরোধ ফ্রন্টের পতাকা, শহীদ আইআরজিসি (ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী) কমান্ডারদের ছবি এবং বিভিন্ন প্রতিবাদবাণী সংবলিত ব্যানার। তারা শুক্রবার সকালে ইরানে ইসরায়েলি হামলাকে ‘সন্ত্রাসী আক্রমণ’ হিসেবে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানান।
মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ‘ইসরায়েল ধ্বংস হোক’ ও ‘আমেরিকা ধ্বংস হোক’—এমন স্লোগান দিতে দিতে আগামীর প্রতিরোধের বার্তা ছড়িয়ে দেন। বক্তারা বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন, এবং আঞ্চলিক দেশগুলোর ওপর ধারাবাহিক হামলা ও পশ্চিমা শক্তিগুলোর নীরবতা, এক ধরনের ‘সহযোগিতামূলক অপরাধ’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বক্তব্যে তারা পাকিস্তান সরকারের নীতিগত অবস্থানের প্রশংসা করেন, যা ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতি সমর্থন এবং কুদস যোদ্ধাদের প্রতি সংহতির প্রতীক হয়ে উঠেছে। বক্তারা বলেন, এই মুহূর্তে ইরানের পাশে দাঁড়ানো শুধু মুসলিম উম্মাহর দায়িত্ব নয়, বরং পাকিস্তানের জন্য একটি মর্যাদার বিষয়।
মিছিলের প্রধান সংগঠক এবং উম্মতে মোস্তফা (সা.) জাগরণ আন্দোলনের নেতা আল্লামা সৈয়দ জাওয়াদ নাকভি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘এই অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি আশপাশের দেশগুলোর জন্য বড় এক সতর্কবার্তা। আমাদের সবাইকে জায়োনিস্টদের (ইসরায়েল) অপরাধের বিরুদ্ধে ইরানের পাশে দাঁড়াতে হবে।’
তিনি পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীকে সতর্ক করে বলেন, ‘জায়নবাদীদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আপনাদের সজাগ থাকতে হবে। অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা বা নিজেদের সৃষ্টি অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো যেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থানকে দুর্বল না করে—সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’
এই সংহতি মিছিল স্পষ্ট করে দিয়েছে, ইরান ও প্রতিরোধ ফ্রন্টের প্রতি সমর্থন শুধু মধ্যপ্রাচ্যেই নয়, উপমহাদেশেও ছড়িয়ে পড়ছে।
সূত্র: ইরনা।
রাকিব