
ছবিঃ সংগৃহীত
আঞ্চলিক কূটনৈতিক মঞ্চে ফের উত্তাপ ছড়াচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া। একদিকে পাকিস্তান ও চীনের সম্পর্কের ঐতিহাসিক মধুরতা, অন্যদিকে আফগানিস্তানকেও পাশে টানার নতুন প্রয়াস—এই ত্রিপক্ষীয় ঐক্যে ভারতের জন্য যেন নতুন এক চ্যালেঞ্জ। আজ সোমবার চীনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠক, যেখানে অংশ নিচ্ছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকী।
বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘাত, বিশেষ করে সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।
চীন সফরের সময় ইসহাক দার চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন। এরপর মঙ্গলবার আফগান নেতাদের সঙ্গেও বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাঁর। বৈঠকে অংশ নিতে ২০ মে চীনে পৌঁছাবেন আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুত্তাকী।
এদিকে কূটনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এই ত্রিপক্ষীয় ঐক্যে ভারতের অবস্থান কোথায়? আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে ভারত যেন একটু ছিটকে পড়েছে বলেই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত ১০ মে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে অনুষ্ঠিত একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে একমত হয় তিন দেশ। সেই ধারাবাহিকতায় এবার চীনে বসছে আলোচনার নতুন পর্ব। কাবুল বৈঠকে আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুত্তাকী, পাকিস্তানের পক্ষে ছিলেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত বিশেষ প্রতিনিধি মোহাম্মদ সাদিক এবং চীনের পক্ষে ছিলেন আফগানিস্তানবিষয়ক বিশেষ দূত ইউ সিয়াওইয়ং।
মোহাম্মদ সাদিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (পূর্বতন টুইটার)–এ লিখেছেন, “এই বৈঠক অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে একমত হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে।”
ভারত এই ত্রিপক্ষীয় ঐক্যের ব্যাপারে প্রকাশ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও দিল্লির কূটনৈতিক মহলে অস্বস্তি স্পষ্ট। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন ও পাকিস্তানের নেতৃত্বে গঠিত কোনো আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্মে আফগানিস্তানের সক্রিয় অংশগ্রহণ ভারতের আঞ্চলিক প্রভাবের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ইমরান