বৈরুতের একটি গ্রামে ইসরাইলি হামলায় বিধ্বস্ত ভবনে আটকাপড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে -আলজাজিরা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড, লেবানন ও সিরিয়ায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে ৯৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গাজায় নিহত হয়েছেন ৪৯ ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে লেবাননে নিহত হয়েছেন আরও ৩৮ জন। নিহতদের মধ্যে ৭ শিশু রয়েছে। আর সিরিয়ায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭ জন। খবর আলজাজিরার।
সোমবার ইসরাইলি বাহিনী গাজা ভূখণ্ডজুড়ে অন্তত ৪৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে গাজার চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে। এর মধ্যে উত্তর গাজার জাবালিয়াতে ইসরাইলি বাহিনীর একটি হামলাতেই নিহত হয়েছেন ৩৬ জন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ৬০৩ জনে পৌঁছেছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এ ছাড়া এক বছরেরও বেশি সময় চলা এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ২ হাজার ৯২৯ ফিলিস্তিনি। অন্যদিকে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে যে হামলা চালিয়েছে তাতে আরও ৩৮ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী বৈরুতের উত্তরে আলমাত গ্রামে হামলায় ২৩ জন নিহত হয়েছেন। আলমাত গ্রামে হওয়া এই হামলায় নিহতদের মধ্যে ৭ শিশুও রয়েছে। মূলত গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানী বৈরুতের পাশাপাশি লেবাননজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর দাবি, সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অপারেটিভস, অবকাঠামো এবং অস্ত্রাগারকে লক্ষ্য করে এই হামলা চলছে। হিজবুল্লাহও পাল্টা আঘাত হানছে। গত সপ্তাহে লেবাননে অভিযানরত ইসরাইলি বাহিনীর ৭০ জন সেনাকে হত্যার দাবি করেছে শক্তিশালী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। অবশ্য ঠিক কত দিনে এই সেনারা নিহত হয়েছেন, তা এই বিবৃতিতে উল্লেখ করেনি গোষ্ঠীটি। অন্যদিকে সোমবার সিরিয়াতেও হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানী দামেস্কের একটি আবাসিক ভবনে ইসরাইলি বাহিনী এই বোমা হামলা চালায় এবং এতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন।
এদিকে গত সেপ্টেম্বরে লেবাননে যোগাযোগযন্ত্রে বিস্ফোরণ ঘটানোর অনুমতি দিয়েছিলেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।