
গাজায় যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার ষড়যন্ত্র করছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এমন অভিযোগ তুলেছেন দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদোর লিবারম্যান। রোববার তিনি ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা কানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আসন্ন নির্বাচনের আগে পর্যন্ত এই যুদ্ধ চালিয়ে নিতে চান নেতানিয়াহু।
ডানপন্থী ইয়িসরায়েল বেইতেইনু পার্টির নেতা লিবারম্যান বলেন, “যুদ্ধের সমাপ্তি ও জিম্মিদের মুক্তির পর নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ চাপ সৃষ্টি হবে। তাই তিনি চান যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হোক।”
তবে তিনি নির্দিষ্ট করে বলেননি, নেতানিয়াহুর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী নির্বাচন যা ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে নির্ধারিত ২০২৫ সালের শেষ বা ২০২৬ সালের শুরুতে সম্ভাব্য আগাম নির্বাচনের কথাই তিনি বোঝাতে চেয়েছেন।
লিবারম্যান আরও বলেন, “যদি একসঙ্গে গাজার সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনা না যায়, তাহলে হামাসকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা সম্ভব নয়।”
এদিকে, ২০২৪ সালের ৬ জুলাই কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তির লক্ষ্যে পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনার সঙ্গে যুক্ত এক সূত্র তুরস্কের আনাদোলু সংবাদ সংস্থাকে জানায়, মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে হালনাগাদ মানচিত্র পাওয়ার পর হামাস নেতৃত্ব গাজার কোন কোন অঞ্চলে এখনো ইসরায়েলি বাহিনীর দখল রয়েছে তা পর্যালোচনায় বসেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৫৯ হাজার ফিলিস্তিনি, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। টানা বোমা হামলায় পুরো গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, যা এখন বসবাসের অযোগ্য।
গত বছরের নভেম্বর মাসে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) নেতানিয়াহু ও তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োআভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। একইসঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও চলছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে)।
বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়া ইসরায়েলি নেতৃত্ব এখন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপে রয়েছে। নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে যুদ্ধের ভবিষ্যৎ এবং রাজনৈতিক পরিণতি এখন দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতির অন্যতম বিতর্কিত ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।
সূত্র:https://tinyurl.com/ybtb92t7
আফরোজা