এরদোগান, ভলোদিমির জেলেনস্কি (মাঝে) জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রের কাছে লড়াইয়ের ঘটনায় তিনি ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’। জাপোরিঝিয়ার সম্ভাব্য যে কোন ধরনের ক্ষতিসাধন হবে আত্মঘাতী। ইউক্রেনের লিভিভে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব এ উদ্বেগের কথা জানান। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
জাতিসংঘ মহাসচিবের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, জাপোরিঝিয়া কেন্দ্র ঘিরে ‘আরেকটি চেরনোবিল’ বিপর্যয়ের বিষয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্র ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক স্থাপনা। গত মার্চে পারমাণবিক কেন্দ্রটির নিয়ন্ত্রণ নেয় রাশিয়া। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পারমাণবিক কেন্দ্রটির আশপাশে ভারি গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য কিয়েভ ও মস্কো পরস্পরকে দায়ী করছে।
বৃহস্পতিবারের এই বৈঠককে সামনে রেখে পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ হামলার জন্য রাশিয়ার সমালোচনা করেন জেলেনস্কি। স্থাপনাটিকে সেনাঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ মস্কোর বিরুদ্ধে। এই অঞ্চলটিকে যত দ্রুত সম্ভব বেসামরিকীকরণে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এই তিন নেতা।
জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রে রাশিয়ার অধীনে কর্মরত এক ইউক্রেনীয় কর্মী স্থাপনাটিতে সম্ভাব্য পারমাণবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, বিগত সপ্তাহগুলোতে স্থাপনাটি ‘অব্যাহত সামরিক হামলার লক্ষ্যবস্তুতে’ পরিণত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই তিন নেতা এ আহ্বান জানান।
‘আরেকটি চেরনোবিল সম্পর্কে’ সতর্ক করেছেন এরদোগান ॥ ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি আলোচনার সময় জাতিসংঘ প্রধানের অনুরোধের প্রতিধ্বনি করে তুর্কি নেতা রিসেপ তাইপ এরদোগান বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে পারমাণবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
এরদোগান পূর্বাঞ্চলীয় লবিব নগরীতে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা আরেকটি চেরনোবিল চাই না।’ এ সময় তিনি আঙ্কারা ও কিয়েভের মধ্যে দৃঢ় বন্ধুত্বের ব্যাপারে ইউক্রেনের নেতাকে আশ্বস্ত করেন।
এরদোগান বলেন, ‘সমাধানের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে আমরা আমাদের ইউক্রেনের বন্ধুদের পাশে রয়েছি।’