
সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে মসলা হিসেবে দারুচিনির চাহিদা অত্যন্ত জনপ্রিয়। রান্নায় গন্ধ ও স্বাদ আনার পাশাপাশি এতে রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতাও। তবে জানেন কি, কোন দেশ সবচেয়ে বেশি দারুচিনি উৎপাদন করে?
ইন্দোনেশিয়া – বিশ্বের শীর্ষ দারুচিনি উৎপাদক
- বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দারুচিনি উৎপাদন করে। দেশটি প্রতি বছর প্রায় ৯০ হাজার টন এর বেশি দারুচিনি উৎপাদন করে থাকে, যা বিশ্বের মোট দারুচিনি উৎপাদনের ৪০%–এরও বেশি।
- ইন্দোনেশিয়ার দারুচিনি মূলত Cassia প্রজাতির, যা স্বাদে ঝাঁজালো ও ঘন সুগন্ধিযুক্ত। আন্তর্জাতিক বাজারে এই দারুচিনির ব্যাপক চাহিদা রেখেছে কারণ এটি কম দামে অধিক সুগন্ধ দেয়।
চীন – ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে দ্বিতীয় স্থানে
- দ্বিতীয় বৃহত্তম দারুচিনি উৎপাদক দেশ হলো চীন। এখানেও Cassia প্রজাতির দারুচিনি উৎপন্ন হয়। চীন বিশ্বব্যাপী বিপুল পরিমাণে রপ্তানি করে, বিশেষ করে এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।
ভিয়েতনাম ও শ্রীলঙ্কাও পিছিয়ে নেই
- তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম, যা “স্যাইগন সিনামন” নামে পরিচিত একটি বিশেষ প্রজাতির দারুচিনি উৎপাদন করে। এটি স্বাদে ও সুগন্ধে অত্যন্ত সমৃদ্ধ।
অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা দারুচিনি উৎপাদনে হয়ত চতুর্থ, কিন্তু গুণগত মানে তারা বিশ্বসেরা। শ্রীলঙ্কায় উৎপাদিত “সেইলন দারুচিনি” (Ceylon Cinnamon বা Cinnamomum verum) পরিচিত ‘ট্রু সিনামন’ হিসেবে। এটি স্বাস্থ্যবান্ধব এবং দামেও অনেক বেশি।
বিশ্বের দারুচিনি উৎপাদনে নেতৃত্ব দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া, তবে চীন, ভিয়েতনাম ও শ্রীলঙ্কা-ও বড় ভূমিকা রাখছে।তবে শুধু পরিমাণ নয় গুণগত মানেও শ্রীলঙ্কার সেই লন দারুচিনি বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ।সুস্বাদু রান্না হোক কিংবা হার্বাল চিকিৎসা দারুচিনি আমাদের জীবনে যেমন সুগন্ধ এনে দেয়, তেমনি বিশ্বব্যাপী একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কৃষিপণ্য হিসেবেও পরিগণিত।
হ্যাপী