ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চন্দ্রাভিযান নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা

এনডিটিভি অবলম্বনে

প্রকাশিত: ০০:০৬, ২৯ নভেম্বর ২০২২

চন্দ্রাভিযান নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা

চীন-যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ

চীন-যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ। রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, সামরিক শক্তিসহ প্রায় সবকিছু নিয়ে তাদের মধ্যে চলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এবার সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। দুই দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতা পৌঁছেছে মহাকাশ অবধি। চাঁদে মানুষ পাঠানোর অভিযান নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হচ্ছে লড়াই। সোমবার চীনের মহাকাশ সংস্থা সিএমএসএ জানিয়েছে, নিজেদের মহাকাশ স্টেশনে আরও নতুন তিন নভোচারীকে পাঠাবে তারা।

আর এদিনই সংস্থাটির সহকারী পরিচালক জি কিমিং ঘোষণা দিয়েছেন- চাঁদেও মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে তাদের। আজ মঙ্গলবার চীনের দক্ষিণাঞ্চলের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে মনুষ্যবাহী শেনচৌ-১৫ মহাকাশযান দিয়ে তিন নভোচারীকে মহাকাশে পাঠানো হবে। তারা চীনের নিজস্ব তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনে যাবেন এবং সেখানে ছয় মাস অবস্থান করবেন। এর আগে গত ১৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট আর্টেমিস-১ উৎক্ষেপণ করে।

আর্টেমিসের সঙ্গে সংযুক্ত অবস্থায় ওরিয়ন নামে আরও একটি ছোট মানুষবিহীন নভোযান (অ্যাস্ট্রোনট ক্যাপসুল) পাঠানো হয় সেদিন। যা পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে যাওয়ার পর আর্টেমিস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। মূলত সুদূরপ্রসারী চন্দ্র অভিযানের অংশ হিসেবেই এ ক্যাপসুলটি পাঠানো হয়েছে। এর দুই সপ্তাহ পরেই চীনের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হলো-তারাও চাঁদে অভিযান চালানোর বড়সড় প্রস্তুতি নিচ্ছে। চীন মহাকাশ স্টেশনের সহকারী পরিচালক জি জানিয়েছেন, তাদের এখন অন্যতম বড় লক্ষ্য হলো চাঁদে মানুষ পাঠানো। এ লক্ষ্যে চীনের নিজস্ব প্রযুক্তি দিয়ে গবেষণাও শেষ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। -এনডিটিভি অবলম্বনে

×