ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

নারীদের প্রথম পিরিয়ড কখন হয়েছে, সেটিই বলে দিতে পারে ভবিষ্যতের রোগের ঝুঁকি

প্রকাশিত: ১২:০২, ২০ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১২:০৫, ২০ জুলাই ২০২৫

নারীদের প্রথম পিরিয়ড কখন হয়েছে, সেটিই বলে দিতে পারে ভবিষ্যতের রোগের ঝুঁকি

ছবিঃ সংগৃহীত

নারীদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে ঋতুচক্রের রয়েছে গভীর সম্পর্ক। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, একজন নারী কত বছর বয়সে প্রথম পিরিয়ড পেয়েছেন, সেটি তার ভবিষ্যতের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও প্রজনন স্বাস্থ্য সমস্যা—এসবের পূর্বাভাস দিতে পারে।

ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ফ্লাভিয়া রেজেন্ড টিনানোর নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণা উপস্থাপন করা হয় ENDO 2025 বার্ষিক সম্মেলনে। গবেষণায় অংশগ্রহণ করেন ৭,৬২৩ জন নারী, যাদের বয়স ৩৫ থেকে ৭৪ বছরের মধ্যে।

গবেষকরা প্রথম পিরিয়ডের বয়স তিন ভাগে ভাগ করেন:

আগে: ১০ বছরের নিচে

স্বাভাবিক: ১০ থেকে ১৫ বছর

বিলম্বিত: ১৫ বছরের বেশি

তাদের স্বাস্থ্য যাচাইয়ের জন্য ব্যবহার করা হয় সাক্ষাৎকার, শারীরিক মাপ, ল্যাব টেস্ট এবং আল্ট্রাসাউন্ড।

১০ বছরের নিচে প্রথম পিরিয়ড:
স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং গর্ভাবস্থাজনিত জটিলতা (যেমন প্রি-এক্ল্যাম্পসিয়া)-এর ঝুঁকি বেশি।

১৫ বছরের পর প্রথম পিরিয়ড:
স্থূলতার ঝুঁকি কম হলেও অনিয়মিত পিরিয়ড ও নির্দিষ্ট হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি।

গবেষক ফ্লাভিয়া রেজেন্ড বলেন, “আমরা এখন বড় একটি জনসংখ্যাভিত্তিক তথ্য পেয়েছি, যা দেখায়—আগে বা দেরিতে পিরিয়ড শুরু হলে ভিন্ন ভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়।”

তিনি আরও বলেন, “প্রথম পিরিয়ড কখন হয়েছে, তা জানা থাকলে চিকিৎসকরা রোগ শনাক্ত ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থায় আরও কার্যকর হতে পারেন। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের নারীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।”

কী করতে হবে?
মেয়েদের কিশোর বয়সেই স্বাস্থ্যশিক্ষা দিতে হবে।

চিকিৎসা গ্রহণে নিজের পিরিয়ডের ইতিহাস জানানো উচিত।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সচেতনতা বাড়াতে হবে।

নোভা

×