
সংগৃহীত
সাধারণভাবে ব্যবহৃত একটি পরীক্ষা—ইউরিন টেস্ট—কীভাবে প্যানক্রিয়াটিক (অগ্ন্যাশয়) ও প্রস্টেট (প্রোস্টেট গ্রন্থি) ক্যান্সার শনাক্তে সাহায্য করতে পারে, তা নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণায় আলোচনা উঠেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার KIMS ও সহ গবেষক দল অত্যাধুনিক SERS সেন্সরের মাধ্যমে মাত্র ১০ µL ইউরিনে থাকা অনন্য ক্যান্সার-সম্পর্কিত উপাদান শনাক্ত করেছেন।
এই পদ্ধতি প্রায় ৯৯% নির্ভুলতার সাথে প্যানক্রিয়াটিক ও প্রোস্টেট ক্যান্সার শনাক্ত করতে সক্ষম
মিশিগান ইউনিভার্সিটির MyProstateScore 2.0 (MPS2) নামে ১৮টি জিনের উপর ভিত্তি করে ইউরিনে একটি পরীক্ষাযোগ্য প্যানেল তৈরি হয়েছে। এটি উচ্চ-গ্রেডের প্রস্টেট ক্যান্সার নির্ধারণে ৯৪‑৯৭% নির্ভুলতা দেখিয়েছে, যা বহুবারের অনावশ্যক বায়োপ্সি এড়াতে সাহায্য করে
ভ্যান্ডারবিল্ট ও মিশিগান দল প্রমাণ করেছেন,
ডিজিটাল রেক্টাল এক্সাম ছাড়াই ইউরিন টেস্ট ব্যবহার করে বাড়িতেই সহজে বড়ো ধরনের প্রস্টেট ক্যান্সার নির্ণয় করা সম্ভব—যা ঐতিহ্যগত পদ্ধতির তুলনায় অনেক স্বচ্ছন্দ ও নিরাপদ
কেন গুরুত্বপূর্ণ?
- প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার — সময়মতো শনাক্ত না থাকলে মৃত্যুহার ৯৮%।
- প্রস্টেট ক্যান্সার — আতঙ্কজনক হলেও, উচ্চ-গ্রেড ক্যান্সারই উন্মূলনের প্রয়োজন।
- ইউরিন টেস্ট দ্রুত, কম ব্যয়বহুল ও ইনভেসিভ নয়।
- বড় সম্মিলিত পরীক্ষায় সফল হলে জনসাধারণের ব্যাপক সুবিধা হবে।
এই পরীক্ষাগুলি প্রমাণ করেছে—ইউরিন ভিত্তিক ‘লিকুইড বায়োপসি’ ভবিষ্যতের দিক নির্দেশ করছে।যদি বড়ো পর্যায়ে সফল হয়, তবে সহজ ব্যবহার ও কম মূল্যে বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার পরীক্ষার ধরন পাল্টে দিতে পারে।
তবে মনে রাখা প্রয়োজন—এই ফলাফল এখনও বৃহদায়তো দীর্ঘমেয়াদি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাচাই প্রয়োজন। তবেই নিশ্চিতভাবেই বলা যাবে—দিনের পরদিন বাড়ছে টেস্টিভেরিজনের সম্ভাবনা।
হ্যাপী