ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২

হার্টবার্ন মানেই গ্যাস্ট্রিক নয়, হতে পারে স্টমাক ক্যান্সারের শুরুও!

প্রকাশিত: ২১:১৬, ১৯ জুলাই ২০২৫

হার্টবার্ন মানেই গ্যাস্ট্রিক নয়, হতে পারে স্টমাক ক্যান্সারের শুরুও!

সংগৃহীত

অত্যন্ত সাধারণ বলে অনেকেই হার্টবার্ন বা অ্যাসিডিটির মতো সমস্যাকে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের এক নারীর ক্ষেত্রে দেখা গেল, এই উপসর্গের আড়ালে লুকিয়ে ছিল ভয়ংকর স্টমাক ক্যান্সার!

জানা গেছে, ওই নারী ওজন কমানোর জন্য ইনজেকশন নিচ্ছিলেন। ইনজেকশনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বারবার পেটে ব্যথা ও হার্টবার্ন হচ্ছিল। শুরুতে তিনি এটিকে ইনজেকশনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেই মনে করেছিলেন। তবে যখন উপসর্গগুলো থেকে যাচ্ছিল না, তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। এরপরই আসে ভয়ানক বাস্তবতা—তিনি স্টমাক ক্যান্সারে আক্রান্ত!

সতর্কতা জরুরি হার্টবার্নের আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে ক্যান্সার, বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদি বা 'পারসিস্টেন্ট' হার্টবার্ন স্টমাক ক্যান্সারের শুরুর ইঙ্গিত হতে পারে। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (WHO) সতর্ক করেছে, গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার সাইলেন্ট কিলার। প্রাথমিক উপসর্গ খুবই সাধারণ —

  • হালকা গ্যাস্ট্রিক
  • পেট ফাঁপা
  • অল্প খাওয়ায় পরিপূর্ণ অনুভব
  • অনিয়মিত বমি ভাব
  • ওজন হ্রাস

এগুলো যদি বারবার হতে থাকে, তবে একে হালকাভাবে নেওয়া বিপজ্জনক। স্টমাক ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে চিকিৎসা সহজ এবং সাফল্যের হারও বেশি। দেরি হলে তা ছড়িয়ে পড়ে শরীরের অন্য অংশে, তখন চিকিৎসা আরও জটিল হয়ে ওঠে।

ডাক্তারেরা বলছেন—

  • সপ্তাহের বেশি সময় যদি হার্টবার্ন থাকে,
  • ইনজেকশন বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মনে হলেও যদি উপসর্গ থেকে যায়,
  • অথবা ওজন হ্রাস হয় দ্রুত—
  • তাহলে অবিলম্বে স্ক্যান বা এন্ডোস্কপি করিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ওজন কমানো বা হালকা হজম সমস্যা নিয়ে অনেকেই নিজে থেকে চিকিৎসা শুরু করেন, যা বিপজ্জনক হতে পারে। উপসর্গ যদি “অসাধারণভাবে সাধারণ” লাগে, তাহলেও চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

জীবন একটাই। সতর্কতাই হতে পারে বাঁচার বড় অস্ত্র। হার্টবার্ন মানেই শুধু গ্যাস্ট্রিক নয়, হতে পারে গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের অশনি সংকেত!

হ্যাপী

আরো পড়ুন  

×