ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২

আপনার সঙ্গীর নাক ডাকা শুধু শব্দ নয়, হতে পারে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি

প্রকাশিত: ২০:৩৫, ১৯ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২০:৩৭, ১৯ জুলাই ২০২৫

আপনার সঙ্গীর নাক ডাকা শুধু শব্দ নয়, হতে পারে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি

ছবি: সংগৃহীত

নাক ডাকা অনেকের কাছেই সাধারণ বিষয় মনে হলেও, এটি স্বাস্থ্যগত দিক থেকে ক্ষতিকর হতে পারে। ঘুমের সময় নাক বা গলার পেছনের টিস্যুগুলো ঢিলে হয়ে বাতাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলে সেগুলো কাঁপে এবং শব্দ হয়, যেটি নাক ডাকা নামে পরিচিত। যদিও মাঝে মাঝে নাক ডাকা ক্ষতিকর না-ও হতে পারে, কিন্তু যখন এটি নিয়মিত ও জোরে হয়, তখন তা শরীরের জন্য বড় বিপদের ইঙ্গিত দেয়।

 

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদী নাক ডাকা অনেক সময় স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ হতে পারে, যেখানে রাতে ঘন ঘন নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যাহত হয় এবং ঘুম বারবার বিঘ্নিত হয়। এর প্রভাব পড়ে রক্তচাপ, হৃদরোগ ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার ওপর।

নাক ডাকার কারণে ঘুমের মান নষ্ট হয়, ফলে সকালে উঠে ক্লান্তিভাব, মাথাব্যথা ও মনোযোগের অভাব দেখা দেয়। ঘুমের এই ব্যাঘাত দীর্ঘমেয়াদে মানসিক চাপ, অবসাদ এমনকি ডায়াবেটিস ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে যাঁরা ওজনাধিক্যে ভুগছেন, ধূমপান করেন বা নিয়মিত অ্যালকোহল গ্রহণ করেন, তাঁদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। নাক ডাকার কারণে ঘুমের সময় বারবার দম বন্ধ হয়ে জেগে ওঠার অভ্যাস থাকলে, কিংবা দিনে অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

 

 

এ অবস্থায় ঘুমের অভ্যাসে পরিবর্তন আনা, যেমন পাশে ফিরে ঘুমানো, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানো–এসব অভ্যাস অনেক ক্ষেত্রে নাক ডাকার সমস্যা কমাতে পারে। তবে সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী হলে এবং দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলতে থাকলে একে অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ নাক ডাকা শুধু শব্দের বিষয় নয়, এটি একটি সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকির ইঙ্গিত বহন করে।

ছামিয়া

আরো পড়ুন  

×