
ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স বা ল্যাকটোজে অ্যালার্জি, একটি সাধারণ হজমজনিত অবস্থা যা অনেকের মধ্যেই থাকতে পারে। এই সমস্যা তখন হয়, যখন শরীর ল্যাকটোজ, একটি প্রাকৃতিক চিনি, যা সাধারণত দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যে থাকে, হজম করতে অক্ষম হয়। ল্যাকটোজ হজমের জন্য আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রে একটি বিশেষ এনজাইম প্রয়োজন, তবে যখন এই এনজাইম তৈরি হয় না, তখন শরীরে ল্যাকটোজ হজম না হয়ে গাঁজন করতে শুরু করে, যা বিভিন্ন অস্বস্তির সৃষ্টি করে।
অনেক সময় মানুষ জানেও না যে, তারা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট। তাই, আমরা আজ আপনাকে বলব কিছু সাধারণ লক্ষণ, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে আপনার ল্যাকটোজে সমস্যা আছে।
১. পেট ফুলে যাওয়া:
ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের একটি প্রধান লক্ষণ হলো পেট ফুলে যাওয়া। দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পর যদি আপনি পেট ফুলে যান, তবে এটি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের একটি সঠিক সংকেত হতে পারে। এটি ঘটে যখন ল্যাকটোজ হজম হয় না এবং কোলনে গাঁজন শুরু হয়, যার ফলে গ্যাস এবং অস্বস্তি হয়।
২. ডায়রিয়া:
যদি আপনি দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন, তাহলে এটি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের একটি সাধারণ লক্ষণ হতে পারে। শরীর যখন ল্যাকটোজ ভেঙে ফেলতে সক্ষম হয় না, তখন এটি অন্ত্রের মাধ্যমে অতিরিক্ত জল বের করে দেয়, যার ফলে ডায়রিয়া দেখা দেয়।
৩. পেটে ব্যথা অনুভব করা:
দুধ বা অন্য দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পর যদি আপনার পেটে ব্যথা অনুভব হয়, তবে এটি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের লক্ষণ। পেটে অস্বস্তি এবং ব্যথা অনুভব করা এই অবস্থার সাধারণ উপসর্গ।
৪. অতিরিক্ত গ্যাস:
ল্যাকটোজ কোলনে গাঁজন করার সময়, এটি হাইড্রোজেন এবং অন্যান্য গ্যাস তৈরি করে, যা অতিরিক্ত গ্যাসের সৃষ্টি করে। ফলে পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫. ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়া:
যদি আপনি দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পর পেট ফুলে গিয়ে ডায়রিয়ার মতো সমস্যায় পড়েন এবং ঘন ঘন টয়লেট যেতে হয়, তাহলে এটি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের আরো একটি স্পষ্ট লক্ষণ।
৬. পেটে শব্দ হওয়া:
দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পর যদি আপনার পেটে গুড়গুড় বা ফোঁসফোঁস শব্দ শোনা যায়, তাহলে এটি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের লক্ষণ হতে পারে।
৭. ত্বকে ব্রেকআউট বা ফুসকুড়ি:
যদি আপনি দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পর ত্বকে ফুসকুড়ি বা ব্রেকআউট দেখেন, তবে এটি আপনার ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের এক অংশ হতে পারে।
এগুলি হল কিছু সাধারণ লক্ষণ, যা দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে, আপনার ল্যাকটোজে সমস্যা রয়েছে কিনা। যদি আপনি এই লক্ষণগুলো অনুভব করেন, তবে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
রাজু