ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহজ ৫টি কার্যকরী উপায় যা আপনার জীবন বাঁচাতে পারে!

প্রকাশিত: ১২:৫৮, ১৯ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১২:৫৯, ১৯ জুলাই ২০২৫

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহজ ৫টি কার্যকরী উপায় যা আপনার জীবন বাঁচাতে পারে!

ছবি: সংগৃহীত।

ডায়াবেটিস বা সুগার ডিজিজ বর্তমানে বিশ্বব্যাপী একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশেও লক্ষ লক্ষ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত এবং প্রতিদিনই নতুন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ডায়াবেটিস হলো এমন একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যেখানে শরীরের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এটি সময়মতো সঠিক ব্যবস্থাপনা না করলে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

ডায়াবেটিস কী?

ডায়াবেটিস হলো একটি মেটাবলিক ডিসঅর্ডার যেখানে শরীর ইনসুলিন হরমোনের যথাযথ ব্যবহার করতে পারে না বা যথেষ্ট ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না। ইনসুলিনের অভাবে রক্তে অতিরিক্ত গ্লুকোজ জমা হয়, যা বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে।

ডায়াবেটিসের প্রধান দুই ধরণ:

১. টাইপ ১ ডায়াবেটিস: সাধারণত শিশু ও কিশোরদের মধ্যে দেখা যায়, যেখানে শরীর ইনসুলিন উৎপাদন করতে ব্যর্থ হয়।
২. টাইপ ২ ডায়াবেটিস: সবচেয়ে সাধারণ ধরণ, যা প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এটি শারীরিক ও জীবনযাত্রার কারণে ইনসুলিন কার্যকারিতা হ্রাসের ফল।

ডায়াবেটিসের লক্ষণসমূহ:

অতিরিক্ত তৃষ্ণা ও বার বার প্রস্রাব
অস্বাভাবিক ক্ষুধা বৃদ্ধি
অকারণে ওজন কমে যাওয়া
ক্লান্তি ও দুর্বলতা
দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা পড়া
ক্ষত বা ঘা ধীরে ধীরে সারানো

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কারা বেশি?

অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা
পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস
অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামের অভাব
উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল সমস্যা
ধূমপান ও অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে করণীয়:

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: কম চিনি, পরিমিত কার্বোহাইড্রেট, বেশি সবজি ও ফল খাওয়া
নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম: সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পরীক্ষা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসা:

ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত ইনসুলিন বা ওষুধ সেবন এবং ডায়াবেটিক ফুটা প্রতিরোধের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাপন করা জরুরি।

মিরাজ খান

×