ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হাঁটলে রোগের ঝুঁকি কমে!

প্রকাশিত: ০২:০২, ১৭ জানুয়ারি ২০২৩

হাঁটলে রোগের ঝুঁকি কমে!

মানব দেহে সকালে হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী

মানব দেহে সকালে হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত সকালে হাঁটলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। 
দৈনন্দিন শারীরিক কার্যক্রম না হওয়ার বা করোনাকালীন সময়ে কম হওয়ার ফলে শরীরে বাসা বাঁধছে বিভিন্ন অসুখ। ডায়বেটিস, উচ্চরক্তচাপ, আথ্র্রাইটিস, ওবেসিটি বা স্থুলতা, মাংসপেশির শক্তি কমে যাওয়া, অষ্ঠিওপোরোসিস বা হাড়ের ভঙ্গুরতা ইত্যাদি।
কারা কখন হাঁটতে হবে : সকালে না বিকেলে সেটা চিকিৎসক আপনার শরীর বা রোগের পরিধি বুঝে পরিমাণ নির্ধারণ করে দেবেন। 
তবে আসুন জেনে নেই সকালে হাঁটা যেসব রোগের ঝুঁকি কমায়।
শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে-
নিয়মিত হাঁটলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে। ভাল কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বাড়ে, মন্দ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমে।
ওজন কমিয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় :
নিয়মিত হাঁটলে ওজন কমার কারণে স্তন ক্যান্সারসহ অন্য অনেক ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ :
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও হাঁটা বেশ কার্যকর। হাঁটলে শরীরের পেশিতে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে রক্তের গ্লুকোজ কমে।
উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি :
উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিন সকালে বিকেলে হাঁটুন। ব্লক থাকলেও নিয়মিত হাঁটার কারণে আশপাশের ছোট রক্তনালিতে রক্ত সরবরাহ বাড়ে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কমে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও।
হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের কর্মক্ষমতা :
হাঁটার সময় হৃদস্পন্দন আর শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বাড়ে। ফলে হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে রক্ত সরবরাহ বাড়ে। 
হাড় ও গিঁটের জন্য ভাল :
যারা নিয়মিত হাঁটেন, তাদের অস্টিওপোরোসিস কম হয়। হাড়ের জোড়া বা গিঁট সুস্থ থাকে।
হাঁটার উপকার পেতে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটুন। বাসায় কিংবা অফিসে লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করতেও পারেন।তবে হাঁটবেন কখন কিভাবে বা কি নিয়মেই তা আপনার নিকটস্থ ফিজিউথ্যারি চিকিৎসকের নিকট জেনে নিতে পারেন।

ডাঃ এম ইয়াছিন আলী
বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস রোগে ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালটেন্ট ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল,
চেম্বার : ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল। রোড : ৪/এ, ধানম-ি, ঢাকা।
০১৭১৭০৮৪২০২, ০২-৯৬১৪৫০০

×