অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ডেঙ্গু প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার ডিএনসিসি হাসপাতালের ১০০০ বেড থেকে ৫০০ এবং বিএসএমএমইউ এর নতুন নির্মিত ফিল্ড হাসপাতালের ৪০০ বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। লাগলে আরো বৃদ্ধি করা হবে। তবে মশা কমাতে হবে এবং মশা যাতে না কামড়াতে পারে সে বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো লিভার হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউটের অডিটোরিয়াম হলে জাতীর পিতার কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মাল্টি পারপাস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডেঙ্গু পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ডেঙ্গু পরিস্থিতি বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো হাত থাকে না। স্বাস্থ্যখাত চিকিৎসা দিতে পারে, কিন্তু মশা মারার কাজ স্বাস্থ্যখাতের নয়। ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বাড়িতে রাতে ঘুমানোর আগে মশাড়ি লাগিয়ে ঘুমাতে হবে এবং বাসাবাড়ি পরিচ্ছিন্ন রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত বর্তমান সরকারের কোনো উন্নয়নই চোখে দেখতে পায় না। তারা শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যই রাজনীতি করে। তারা দেশের মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে রাজনীতি করে না। ক্ষমতার লোভে তারা পেট্রোল দিয়ে মানুষ পুরে মারতেও দ্বিধা করে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সিলেটে বন্যার সময় তারা বন্যার্ত মানুষের জন্য কিচ্ছু করেনি। তাদের সময় বিদ্যুৎ মাঝে মাঝে আসতো, বিদ্যুৎ থাকতোই না। তারা অফিসে, ঘরে এবং কল কারখানায় কোথাও বিদ্যুৎ দিতে পারে নাই। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধের কারণে সাময়িক সময়ের জন্য কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং নিয়েই রাজনীতি শুরু করেছে বিএনপি। যুদ্ধের কারণে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। ইউ কে'তে এখন মানুষ খাবার বাঁচাতে দু বেলা খাচ্ছে। কই আমাদের দেশে তো এরকম হয়নি।
করোনার এত বড় ধাক্কার পরও বাংলাদেশের মানুষ অভাবে না খেয়ে নেই জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষকে খাবার বাঁচাতে দু বেলা খেতে হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভালো থাকা নিয়ে ভাবে, আর বিএনপি জামাত দেশকে লুটেপুটে খাবার জন্য ক্ষমতায় যেতে চায়। এগুলো দেশের মানুষ বোঝে। আর তাই দেশের মানুষ শেখ হাসিনার সঙ্গেই আছে। দেশের মানুষ আবারো শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় এনে সেটাই প্রমাণ করে দেবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর মাহমুদ হাসান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্রিগত চিকিৎসক ডা. সিরাজুল ইসলাম শিশির, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান এবং গ্যাস্ট্রো লিভার হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউটের পরিচালক ডা. গোলাম কিবরিয়া সহ অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ।
এমএইচ
