ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বড় বড় চুল্লিতে পোড়িয়ে তৈরি হচ্ছে কয়লা

সংবাদদাতা,ধামরাই,ঢাকা 

প্রকাশিত: ১৮:৪২, ২১ নভেম্বর ২০২২

বড় বড় চুল্লিতে পোড়িয়ে তৈরি হচ্ছে কয়লা

কয়লার চুল্লি

ধামরাইয়ে গাছ পুড়িয়ে উৎপাদিত হচ্ছে কয়লা, নির্বিচারে বৃক্ষনিধন ও কয়লা উৎপাদনের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। দেখা যায় শত শত গাছের টুকরা পাশে জ্বলছে বড় বড় চুল্লিতে গাছ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কাজ। একাধিকবার প্রশাসনের অভিযানের পরও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে পুনরায় গাছের টুকরা পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কাজ।
ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের ইউনিয়নের লেবু মার্কেট এলাকায় এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে এমনি দুইটি কারখানার চালাচ্ছে আনোয়ার হোসেন ও বালিয়া ইউপি সাবেক মেম্বার সেলিম হোসেন নামে দুই ব্যক্তি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,লোকালয়ে,বসত বাড়ির সন্নিকটে লেবু ক্ষেতের ভিতরে দুইটি স্থানে ৮টি চুল্লিতে চলছে এই সব কয়লা তৈরির কারখানা। বিভিন্ন গাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ফলজ,বনজ ও ঔষধি গাছ সংগ্রহ করে প্রতি চুল্লিতে ২২০-২৩০ মণ গাছের টুকরা ৯-১০ দিন পুড়িয়ে ৪টি চুল্লিতে উৎপাদিত হচ্ছে এসব কয়লা। 

এতে যেভাবে বৃক্ষনিধন হচ্ছে সাথে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, ফলে পড়তে হচ্ছে শ্বাষ কষ্ট সহ নানান স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।  অবৈধ কয়লা কারখানার বৈধ কোনো কাগজ পত্র না থাকায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব,সৃষ্টি হচ্ছে পরিবেশের বিপর্যয়।

উপজেলা বন কর্মকর্তা মোত্তালিব আল-মোমিন বলেন, আমরা এর আগেও অবৈধ এ চুল্লি গুড়িয়ে দিয়েছি,শুনেছি আবার চালু করেছে। আমি উপজেলা প্রশাসন ও আমার বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। অতিদ্রুত এ কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন,শুনেছি আবারও কয়লা কারখানা চালু করেছে,অতিদ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কয়েক মাস আগে কয়লা কারখানায় আমরা অভিযান পরিচালনা করে গুড়িয়ে দিয়েছি, অবৈধ এ কারখানায় আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 

এমএস

×