
সংগৃহীত
‘S Line’ কে-ড্রামায় যৌন সম্পর্কের গোপন রহস্য এখন দৃশ্যমান! দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন কে-ড্রামা ‘S Line’ সম্প্রচারের পর থেকেই ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওয়েবটুন অবলম্বনে নির্মিত এই সিরিজে দেখানো হয়েছে এমন এক ভবিষ্যৎ সমাজ, যেখানে মানুষের অতীত যৌন সম্পর্ক চোখে দেখা যায় লাল রেখার মাধ্যমে।
“S Line” মানে কি? “S Line” এখানে সাধারণত বোঝায় না কোনো শারীরিক গঠন বা ফিগারের আকৃতি। বরং এই গল্পে, এটি এক ভিন্নরকম সামাজিক প্রযুক্তি ও চাক্ষুষ বাস্তবতা:
- প্রতিটি লাল রেখা মানে একটি শারীরিক সম্পর্ক।
- যত বেশি লাল রেখা, তত বেশি সম্পর্ক।
- কিছু মানুষ এই রেখাগুলো বিশেষ চশমা বা জন্মগত ক্ষমতার মাধ্যমে দেখতে পায়।
এই ধারণা সমাজে নৈতিকতা, গোপনীয়তা ও বিচারবোধ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তোলে। যখন কারও সম্পর্কের ইতিহাস শরীর থেকে আলাদা হয়ে আকাশে দাগ হয়ে দেখা দেয়, তখন কি সম্পর্ক আর শুধু ব্যক্তিগত থাকে?
ভাইরাল সেই দৃশ্য: মোরগ না মানুষ
- লি সু-হিউকের চরিত্র এক পর্বে যখন স্ক্রিনে আসে, তার মাথার ওপরে এত বেশি লাল লাইন যে তা দেখে দর্শকরা রীতিমতো হকচকিয়ে যান।
নেটিজেনদের ভাষায়—
- “এ তো রীতিমতো সিগন্যাল টাওয়ার!”
- “ব্যাটার মাথা দেখে মনে হচ্ছে লাল বাতির এলাকা থেকেই এসেছেন…”
- “লাইনের রাজা! এস লাইন না, এস ট্র্যাফিক!”
এই দৃশ্য এখন টুইটার (X), ইনস্টাগ্রাম, রেডডিটে মিমের ঝড় তুলেছে। নেটপাড়ায় কেউ তাকে ডেকেছেন “চিকেন হেড”, কেউ বলেছেন “রাউটার অন দ্য গো”।
গল্পে রহস্যের মোড়
- ‘S Line’ শুধু সম্পর্ক নয়, রহস্য-থ্রিলারও বটে।
- সিউলের এক স্কুলে ঘটে অপ্রত্যাশিত আত্মহত্যা।
- ডিটেকটিভ হান জি-উক (লি সু-হিউক) একসময় নিজের ঘরেই আবিষ্কার করেন অসংখ্য লাল রেখা।
অন্যদিকে, শিক্ষিকা লি গিউ-জিন (লি দা-হি)—যার শরীরে একটিও রেখা নেই!এই “শূন্যতা”ই গল্পে নতুন প্রশ্নের জন্ম দেয়—কেন? কী লুকিয়ে আছে তার অতীতে?
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
- ‘S Line’ প্রথম কোরিয়ান ড্রামা যা কান সিরিজ ফেস্টিভাল-এ “Best Music” পুরস্কার জিতেছে।
- সিরিজটির সাউন্ডট্র্যাক করেছেন লি জুন-ওহ, যা রহস্যময় আবহ তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
- এটি ২০২৫ সালের সবচেয়ে সাহসী ও বিতর্কিত সিরিজ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়।
কখন দেখবেন
- পর্ব ১ ও ২: ১১ জুলাই, ২০২৫
- পর্ব ৩ ও ৪: ১৮ জুলাই, ২০২৫
- শেষ পর্ব ৫ ও ৬: ২৫ জুলাই, ২০২৫
- শুধু Wavve-এ স্ট্রিমিং হচ্ছে
‘S Line’ কেবল একটি কল্পবিজ্ঞান থ্রিলার নয়—এটি এক ধাক্কা, এক আয়না, যা দেখিয়ে দেয় সম্পর্ক, শরীর, গোপনীয়তা আর সমাজের চোখের মাঝখানে থাকা দাগগুলো।এই লাল রেখা শুধু শরীরের সংযোগের প্রতীক নয়, বরং এক ধরনের সামাজিক বিচারের ছাপ যা একবার দৃশ্যমান হলে আর লুকানো যায় না।
হ্যাপী