ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

দ্বি-বার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী শুরু কাল

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:০৯, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

দ্বি-বার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী শুরু কাল

১৯তম এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর সংবাদ সম্মেলনে চার দেশের জুরিদের সঙ্গে লিয়াকত আলী লাকী

‘১৯তম দ্বি-বার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ-২০২২’ এর পর্দা উঠছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনী ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সকাল ১০টায়। এবারের প্রদর্শনী উৎসর্গ করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় মাসব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী আয়োজনে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর, বরেণ্য চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী ও শিল্প সমালোচক জ্যারোস্ল সুহান।

সভাপতিত্ব করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালাজুড়ে এ প্রদর্শনী চলবে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। এতে অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশসহ মোট ১১৪টি দেশ। মোট ৪৯৩ জন শিল্পীর ৬৪৯টি শিল্পকর্ম স্থান পাবে এ প্রদর্শনীতে।

প্রদর্শনী উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন হয় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, জুরিবোর্ডের সদস্য জগথ ভিরাসিংহে (শ্রীলঙ্কা), নারসেরিন টর (তুরস্ক), ইয়োনা ব্লাজউইক (যুক্তরাজ্য) ও জেরুস ল সুচান (পোল্যান্ড)। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একাডেমির চারুকলার পরিচালক মাহাবুব করিম মিমি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শনীর যাবতীয় তুলে ধরেন একাডেমির মহাপরিচাল লিয়াকত আলী লাকী। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত শিল্পকলা একাডেমি গত ৪০ বছর ধরে এশিয়ার সর্ববৃহৎ শিল্পযজ্ঞ এশিয়ান চারুকলা প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে। এটি এখন সকল দেশের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে একশ’টিরও অধিক দেশ নিয়ে এই আয়োজনটি করার স্বপ্ন ছিল আমাদের সকলের। আমাদের সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এ প্রদর্শনী গত চার দশক ধরে এশিয়া মহাদেশের একটি মর্যাদাপূর্ণ চারুকলা উৎসবে পরিণত হয়েছে। মূলত, সমকালীন শিল্পকলাকে প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিল্পপ্রেমী দর্শক ও সংগ্রাহকদের নিকট সুপরিচিত করে তোলার লক্ষ্যে দ্বি-বার্ষিকভিত্তিতে এ প্রদর্শনীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এতে চিত্রকলা, ছাপচিত্র, আলোকচিত্র, ভাস্কর্য, স্থাপনা শিল্প ও নতুন মাধ্যমের শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়।

দেশী-বিদেশী চারুশিল্পীগণ এই সকল শিল্পকর্মের মাধ্যমে তাদের সমকালীন চিন্তা-ভাবনাকে দর্শকের সামনে তুলে ধরেন। প্রদর্শনী উপলক্ষে দেশী-বিদেশী শিল্পী, শিল্পসমালোচক, জুরি, পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণে একটি নির্দিষ্ট থিম নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
এবার প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ১৪৯ জন শিল্পী এবং তাদের শিল্পকর্ম রয়েছে ১৫৬টি। বিদেশ থেকে ১১৩টি দেশের ৩৪৪ জন শিল্পী নির্বাচিত হয়েছেন এবং তাদের মোট শিল্পকর্মের সংখ্যা ৪৯৩টি।

জুরিবোর্ডের সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ থেকে বরেণ্য চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী, শ্রীলঙ্কার শিল্পী জগথ ভিরাসিংহে, তুরস্কের নারসেরিন টর, যুক্তরাজ্যের ইয়োনা ব্লাজউইক, পোল্যান্ডের চিত্রশিল্পী জেরুস ল সুচান। মোট পুরস্কার রাখা হয়েছে নয়টি। গ্র্যান্ড পুরস্কার তিনটি পাঁচ লাখ টাকার প্রতিটি সঙ্গে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট। সম্মানসূচক পুরস্কার ছয়টি তিন লাখ টাকা প্রতিটির সঙ্গে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট। প্রদর্শনীতে চারটি সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে।

×