ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শাকিবের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিই এটা ভুল ॥ বুবলী

সংস্কৃতি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:৪০, ৫ ডিসেম্বর ২০২২

শাকিবের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিই এটা ভুল ॥ বুবলী

শবনম বুবলী

‘অপু-শাকিব-বুবলী’ এই ত্রিমুখী আলোচনায় সরব সিনেপাড়া। কথা ছিল এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে সংবাদ সম্মেলন করবেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। অবশেষে এ আয়োজন থেকে সরে আসলেন তিনি। শুধু তাই নয়, বুবলী এড়িয়ে চলছিলেন সংবাদকর্মীদেরও। সবাই প্রায় ধরেই নিয়েছিল, হয়তো দ্বন্দ্ব মিটমাট করে নিয়েছেন তারা। কিন্তু বিষয়টি মোটেও  সেখানে থেমে যায়নি। রবিবার সন্ধ্যায় একটি দীর্ঘ ভিডিও বার্তায় অবস্থান পরিষ্কার করলেন বুবলী।

সেখানে তিনি শাকিব খানের সঙ্গে তার নিজের, নায়িকা অপু বিশ্বাসের সম্পর্ক ও সন্তানের বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। শাকিব খানের সঙ্গে শবনম বুবলীর চার বছরের বৈবাহিকজীবন। এর মধ্যে তারা সন্তানের বাবা-মা হয়েছেন। সেই সন্তানের বয়সও তিন বছরের কাছাকাছি। তবে এই লম্বা সময়ে শাকিব খানের কাছ  থেকে আর্থিক সহায়তা নেননি বলে দাবি করলেন বুবলী। তার মতে, বিয়ের পর থেকে কিংবা সন্তান পৃথিবীতে আসার পর থেকে নিজেই সবকিছু বহন করছেন।
ভিডিও বার্তায় বুবলী বলেন, অনেকে বলে থাকেন, আমি নাকি শাকিব খানের কাছ থেকে অনেক আর্থিক সহায়তা নিই। এই কথাটাও সম্পূর্ণ ভুল। বিয়ে বা আমার সন্তান পৃথিবীতে আসার পর থেকে আমি কোনো আর্থিক সহায়তা নিইনি। স্বামী বা সন্তানের বাবা হিসেবে অবশ্যই এটা ওনার অনেক বড় দায়িত্ব। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ তার ওপর নির্ভর করে।

আমার সন্তানের বয়স তিন বছরের কাছাকাছি, আজ অবধি আমি কখনোই আর্থিক সহায়তা নিইনি। সমস্ত কিছু নিজেই বহন করছি। সন্তানকে নিয়ে আমেরিকায় থাকাকালীন অনেক টাকা খরচ হয়েছিল বলে জানান বুবলী। ওই সময়ে ১৫ হাজার ডলারের মতো দিয়েছিলেন শাকিব। বাকি অর্থ নিজে খরচ করেন নায়িকা।
বুবলীর ভাষ্য, সন্তানকে নিয়ে আমেরিকায় থাকার সময়টাতে অনেক বড় অঙ্কের খরচ হয়েছে। প্রায় এক বছরের মতো থাকতে হয়েছিল। তখন তিনি (শাকিব) ১৫ হাজার ডলারের মতো হেল্প করেছিলেন। বাকি প্রায় ৩০ হাজার ডলারের মতো আমি নিজে বহন করেছিলাম। টাকার অঙ্কটাও বললাম, কারণ এটা নিয়ে অনেক ভুল নিউজ হয়েছে। গিফট বা উপহারের বিষয়গুলো আলাদা। তবে আর্থিক সহায়তা কখনো নিইনি।

কয়েকদিন আগে বুবলী জানান, তার জন্মদিনে শাকিব খান হীরের নাকফুল উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু শাকিব বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ নিয়ে বুবলী বললেন, নাকফুলের বিষয়টি নিয়ে অনেকে জানতে চাচ্ছিলেন। দেখুন কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে কিছু উপহার দেন, সেই বিষয়টা যদি প্রমাণ করতে হয়, তা হলে এটা নিয়ে কথা বলাই উচিত না। উনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তারপরও যদি কিছু প্রমাণ করতে যাই, তাহলে তাকে অসম্মান করা হবে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে আমি আর কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না।

উনি যেটা ভালো মনে করেছেন, বলেছেন। একপর্যায়ে ছেলে শেহজাদ খান বীরের প্রসঙ্গে কথা বলেন বুবলী। বলতে বলতে তার চোখ ভিজে আসে। কান্নাজড়ানো কণ্ঠে বলেন, আমি চেয়েছিলাম ওর বিষয়টা একসঙ্গে সুন্দরভাবে সামনে আনতে। কিন্তু কোনোভাবে হচ্ছিল না। আমি তো প্রায় তিন বছর অপেক্ষা করেছি। ওর বিষয়টা সামনে আনার পর থেকে আমি কারও বিষয়ে কোনো অভিযোগ করিনি এবং আজো করছি না।

×