.
টানা উত্থানের পর শেয়ারবাজারে সামান্য পতন ঘটেছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে এমন আশঙ্কায় দিনভর শেয়ারবাজারে সূচকের ওঠানামা ছিল। শেষ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপে টানা ৫ দিন পর শেয়ারবাজারে সূচক কমেছে।
বিনিয়োগকারীদের অস্থিরতা দূর করতে গত ২৮ জুলাই শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপর টানা ৫ কার্যদিবস উত্থান ঘটে। এছাড়া বৃহস্পতিবার ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা সংক্রান্ত জটিলতা কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা জারি করে। তারপরও শুধুমাত্র তেলের দরবৃদ্ধিতে নানা অরাজকতার কারণে শেয়ারবাজারের সব সূচক কমছে। সূচকের সঙ্গে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮.২৫ পয়েন্ট বা ০.১৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩০৪.০০ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১.৬৪ পয়েন্ট বা ০.১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৭৬.৮৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫.৬৩ পয়েন্ট বা ০.২৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৫৯.৫৬ পয়েন্টে।
ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১১৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকার। যা আগের কার্যদিবস হতে ৭২ কোটি ৯২ লাখ টাকা কম। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ১৯০ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ডিএসইতে ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৪টির বা ৩২.৬৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে।