ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজার মন্দা

পুঁজিবাজারে দুর্বল কোম্পানিতে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৭:৫৭, ৪ জুলাই ২০২২

পুঁজিবাজারে দুর্বল কোম্পানিতে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ

টানা দর হারাতে থাকা পুঁজিবাজারে দুর্বল লোকসানি কোম্পানিগুলো আবার তেজ দেখাতে শুরু করেছে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে এমন কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি ৎপাদনে নেই, লভ্যাংশ দিতে পারছে না বছরের পর বছর ধরে

দেশের পুঁজিবাজারে মন্দাভাবের সময় এই বিষয়টি প্রায়ই দেখা যায় লোকসানি, ৎপাদন বন্ধ-এমন সিংহভাগ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন বেশ কম শেয়ার সংখ্যা কম হওয়ার কারণে শেয়ারদর কৃত্রিমভাবে বাড়ানোর সুযোগ থাকে প্রায়ই দেখা যায়, শেয়ারদর বাড়লে বিনিয়োগকারীরা সেই কোম্পানির শেয়ারেই বেশি আকৃষ্ট হয়

এমনিতেই দর সংশোধনে থাকা পুঁজিবাজারে ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য হ্রাসসহ নানা ইস্যুতে বিনিয়োগকালীদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক চাপ প্রবল তার ওপর বাজেটে প্রত্যাশিত কোনো ঘোষণা আসেনি আশা ছিল, বাজেট পাসের সময় অন্তত কিছু পাওয়া যাবে, কিন্তু অর্থমন্ত্রী এখানেও কোনো সুখবর রাখেননি

গত অর্থবছরের শুরুটা ঝলমলে থাকলেও সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ দিন থেকে পুঁজিবাজারে টানা যে দর সংশোধন শুরু হয়, এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির মতভেদ, পরে বছর শেষের সমন্বয়, এরপর নতুন বছর শুরু হতে না হতেই আন্তর্জাতিক নানা ঘটনাপ্রবাহ, ইউক্রেন যুদ্ধ, শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়, ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন- পুঁজিবাজারে আস্থা তৈরি হওয়ার মতো যেন কোনো একটি ঘটনাও নেই

 

পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছিলেন, অর্থবছরের শেষে বিভিন্ন কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যা দেখে বিনিয়োগকারীরা নতুন বিনিয়োগের ছক আঁকেন বাজারে নতুন ফান্ড ইনজেক্ট হয় যার কারণে ইতিবাচক চাঞ্চল্য দেখা যায় এতে সময় লাগবে

গত বৃহস্পতিবার অর্থবছরের শেষ দিন শেষ বেলায় হঠা করেই ক্রয়চাপ সূচক বাড়তে দেখা দিলেও নতুন অর্থবছরের প্রথম দুই কর্মদিবসেই পড়ল সূচক, শেয়ারদর সেই সঙ্গে কমল লেনদেন

বৃহস্পতিবার যেখানে ৯৩৭ কোটি টাকা ছাড়িয়ে লেনদেন হয়েছিল, রবিবার তা দাঁড়ায় ৬৫৪ কোটি ৮৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকায় সেখান থেকে কিছুটা বেড়ে সোমবার হাতবদল হয়েছে ৬৩২ কোটি ৫০ লাখ ৮২ হাজার টাকা

১৬২ কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে হারিয়েছে ১৬৫টি, অপরিবর্তিত ছিল ৫৪টির দর

লেনদেনের বিষয়ে মিয়া আব্দুর রশিদ সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা শেখ ওহিদুজ্জামান স্বাধীন বলেন, ‘ঈদের আগে নতুন করে শেয়ার কেনা থেকে বিরত রাখবেন বিনিয়োগকারীরা এছাড়া মার্জিন লোন নিয়ে যারা ট্রেড করেন, তাদের ট্রেডিংও বন্ধ থাকবে লেনদেন কমার এটি একটি কারণ

এছাড়া নতুন অর্থবছরের ফান্ড ইনজেক্ট হয় অনেক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ইনভেস্ট করেন কিন্তু ফান্ড জোগাড় করতে তাদের সময় লাগে জুলাইয়ের অর্ধেক যাবার পরে তারা হয়তো ফান্ড কালেক্ট করে নতুন বিনিয়োগ করবেন এতে আশা করা যায় বাজার চাঙা হবে

×