সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।
সময়ের ঘাত মোকাবেলায় প্যাকেজিং খরচ কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, করোনা অনেকটা শেষ হলেও মানুষের যুদ্ধ শেষ হবে না। তাই বিচলিত না হয়ে সম্ভাব্য হুমকীর তালিকা করে ব্র্যান্ড প্রাকটিশনারদের আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে।
এক্ষেত্রে ফুড মার্কেটিংয়ে যারা আছেন তাদের নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী বা প্রতিযোগী ভাবার কারণ নেই। কেননা মার্কেট পয়েন্ট অব ভিউতে এখন নতুন নতুন প্রতিযোগী আছে। এই যেমন, নগরীতে লেবুর শরবত এখন সফট ড্রিংকসের পরিপূরক হতে চলেছে। তাই শহরের তুলনায় গ্রামের বাজারে নজর দিতে হবে।
কেননা গ্রামীণ অর্থনীতিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে বাড়ছে রেমিটেন্স। করোনা পরবর্তীতে রেমিটেন্স দ্বিগুণ হয়েছে। কার্ভ মার্কেট এবং হুন্ডির কারণে ডলার সঙ্কট কেটে যাবে। পুরো বাজারকে দৃষ্টি দিয়ে মানকে সমুন্নত রেখে ব্র্যান্ড প্রমোশন বাড়াতে হবে। আর সময়ের ঘাত মোকাবেলায় প্যাকেজিং খরচ কমাতে হবে।
গতরাতে রাজধানীর একটি হোটেলে ফুড অ্যান্ড বেভারিজ মার্কেটিং ফেস্ট ২.০ এর সমাপনী অধিবেশনে এসব কথা বলেন দেশের অন্যতম এই বিপনন বিশেষজ্ঞ। আইবিএ সহযোগী অধ্যাপক খালেদ মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন আকিজ ভেঞ্চর গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আলমগীর।
ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়লেও অনলাইন সেলসের কন্ট্রিবিউশন ২ শতাংশের কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনো আমাদের দেশের মানুষ অনলাইন পছন্দ করে না। প্রক্সিমিটির কারণে আরও সময় লাগবে। কিছু দুর্ঘটনার কারণে আস্থা ফিরিয়ে আনতেও সময় লাগবে।
ব্র্যান্ড প্র্যাক্টিশনার্স বাংলাদেশ এর উদ্যোগে খাদ্যপণ্যের মার্কেটিং সেক্টরের সম্ভাবনা ও বাস্তবতা বিষয়ক এই ফেস্ট অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বব্যাপী দাম বৃদ্ধির প্রভাবে খাদ্য ও পানীয় পণ্যের মার্কেটিং এর চ্যালেঞ্জ ও সংকটের সমাধান এবং বাস্তবতা বিষয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।