ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

অর্থ পাচার ॥ এনআরবিসি ব্যাংককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:০৩, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

অর্থ পাচার ॥ এনআরবিসি ব্যাংককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা

এনআরবিসি ব্যাংককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা

মানি লন্ডারিংয়ের তথ্য গোপন করায় এনআরবিসি ব্যাংককে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও চেয়ারম্যানসহ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনতে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, নানা অনিয়ম ও জালিয়াতিতে জড়িয়েছে ব্যাংকটি। একের পর এক অনিয়ম করেও তা গোপন রাখা হতো। অনিয়ম আড়াল করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছেও দেওয়া হতো মিথ্যা তথ্য। এতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে বিভ্রান্ত করে আসছিল ব্যাংকের দুর্নীতিবাজ চক্রটি। বিগত সরকারের প্রভাবশালী বলয়ের সহযোগিতায় এবং এনআরবিসি ব্যাংকের আলোচিত চেয়ারম্যান পারভেজ তমালের ইশারায় এসব অপকর্ম চলে আসছিল।
জানা যায়, ব্যাংকটিতে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং তার অনুসারী কয়েকজনের বিশেষ গ্যাং তৈরি করা হয়। কর্মকর্তা ও অংশীজনদের জিম্মি করে অপরাধ ধামাচাপা দিতে সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের ভগ্নিপতিকে অভিজ্ঞতা ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে অনিয়মের বৈধতা দেওয়া হয়েছে। আর সাবেক গভর্নর ফজলে কবীরকে নানা সুবিধা দিয়ে চুপ করিয়ে রেখেছিল পারভেজ তমাল চক্র। ব্যাংকের পৃথক তদন্ত ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে এসব তথ্যের সত্যতা মিলেছে। এ ছাড়া বোর্ডসভায় অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ এবং বিপুল অর্থ অপচয়ের প্রমাণ মিলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনে।
সম্প্রতি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠানো বাংলাদেশ ব্যাংকের গোপনীয় একটি প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এনআরবিসি ব্যাংকের ওআর নিজাম রোড শাখার হিসাবধারী মো. রেজাউল বশির চৌধুরীর সঞ্চয়ী হিসাবে দীর্ঘ সময় ধরে সন্দেহজনক লেনদেন চিহ্নিত হওয়া সত্ত্বেও তা বাংলাদেশ ব্যাংকে রিপোর্ট না করে গোপন করা হয়েছে। অথচ আইন অনুযায়ী এসব তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ইউনিটকে জানানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

×