ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইষ্টিকুটুম

শেখ সালাহ্উদ্দীন

প্রকাশিত: ২২:২২, ৭ অক্টোবর ২০২২

ইষ্টিকুটুম

.

ইষ্টিকুটুম এলে পরে বাড়ি
চুলায় চড়ে বড়ো বড়ো হাঁড়ি
হরেক সদাই বাড়িতে হয় আনা
গন্ধ ছড়ায় লোভনীয় খানা।
মেজাজ থাকে সবারই ফুরফুরে
খুশির আমেজ বেড়ায় হাওয়ায় উড়ে
ঢিমেতালে চলে লেখাপড়া
শাসনটাও থাকে না খুব কড়া।

রাত্রি জেগে গল্প-গুজব চলে
ছোটোদেরও যায় দেখা সে দলে।
ছুটা বুয়ার মুখটা শুধু ভারি
তাকেই ধুতে যে হয় বাসন হাঁড়ি  
মেজাজটা তার চড়ে মাঝে মাঝে
প্রমাণ মেলে কথায় এবং কাজে।  
বিদায় বেলা কুটুম এটা বুঝে
দেয় কিছু টিপস তার হাতে ঠিক গুঁজে-  
বুয়া খুশি, মন আমাদের ভারি
কুটুম কবে আসবে আবার বাড়ি!

 

*
ত্রিনয়নী গৌরিমাতা

অপু চৌধুরী

চলরে সবাই চল! দেখতে যাবো-
বাজছে কোথায় মন্দিরা মাদল।

তাক দুমা দুম ঢোল, দুর্গা মা কী বোল
পাড়ায় পাড়ায় ধুম পড়েছে
আমোদ দোদুল দোল।

কী অপরূপ শারদ সতেজ বনে
কাশফুলেরা ময়ূর চূড়ায় দুলছে আপন মনে
সাঁঝের আলোয় শিউলি ফুলের চাদর
শিশির ভেজা নরম ঘাসের আদর
কী মায়াবী আমোদ কোলাহল!
তালে তালে বাজছে কেবল মন্দিরা মাদল।

অই যে দীঘির পাড়ে
ত্রিনয়নি গৌরিমাতা হাসছে লোকাচারে
অসুর শক্তি বিনাশ হবেই, মিথ্যার হবে ক্ষয়
দেবতা কূল ফিরে পাবেন স্বর্গীয় আলয়।

চতুর্দিকে হৈ-হুল্লোড় ভক্ত কুলের ঢল
স্বর্গ-মর্ত্যে বাজতেছিলো মন্দিরা মাদল।

ধূপের ধোঁয়া মাখবো গায়ে মন্ডপে আজ, চল
পঞ্চ প্রদীপ জ্বালিয়ে মাকে ডাকবো অনর্গল
উলুধ্বনি শাঁখের নিনাদ করবো অবিরল
দীঘির পাড়েই বাজছে মধুর মন্দিরা মাদল।

 

×