ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফিফা নারী আন্তর্জাতিক ফুটবল সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২২:১৯, ২৭ জুন ২০২২

ফিফা নারী আন্তর্জাতিক ফুটবল সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

রুমেল খান ॥ প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী। কিন্তু সেটা মাটিতেই রয়ে গেছে। তবে তাই বলে মূল গন্তব্যে ঠিকই পৌঁছানো গেছে। বলা হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের কথা। দুই ম্যাচের ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি সিরিজটি ঠিকই নিজেদের করে নিয়েছে তারা এবং সেটা তাদের ‘পয়মন্ত’ ভেন্যু ঢাকার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোঃ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের সবুজ টার্ফে। রবিবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ম্যাচে মালয়েশিয়া দলের সঙ্গে তারা প্রায় একতরফা খেলেও গোলশূন্য ড্র করে। প্রথম সিরিজের প্রথম ম্যাচে (একই ভেন্যুতে গত ২৪ জুন অনুষ্ঠিত) ৬-০ গোলে জয়ের সুবাদে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় সিরিজ জিতে নেয় লাল-সবুজ বাহিনী। তাদের হাতে ট্রফি তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি পরে বাংলাদেশ দলকে এক বার্তায় অভিনন্দনও জ্ঞাপন করেন। চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জেতার পাশাপাশি আরও দুটি ব্যক্তিগত ক্যাটাগরিতেও পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশ। ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন পান সর্বোচ্চ গোলদাতার (২ গোল) এবং ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মারিয়া মান্দা পান সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। রবিবারের ম্যাচে বল নিয়ন্ত্রণ, আক্রমণ, বিপজ্জনক আক্রমণ, কর্নার, গোলমুখে শট সবকিছুতেই প্রতিপক্ষের চেয়ে বিপুল ব্যবধানে এগিয়েছিল বাংলাদেশ। এদিন তারা সবকিছুই করেছে। কিন্তু দুভার্গ্যক্রমে কেবল কাক্সিক্ষত গোলের মুখটাই দেখতে পারেনি। অবশ্য বাংলাদেশ দল না জিতলেও এটা ভেবে তারা স্বান্ত¡না খুঁজে নিতে পারে- গত নয় মাস ধরে তারা কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি। তাছাড়া ফিফা র‌্যাঙ্কিয়েও মালয়েশিয়ার চেয়ে ৬১ ধাপ পিছিয়ে আছে তারা (মালয়েশিয়া ৮৫, বাংলাদেশ ১৪৬)। কাজেই রবিবার তাদের হারাতে না পারলেও নিজেরাও তো হারেনি, দুই ম্যাচে একটিও গোল হজম করেনি এবং সর্বোপরি সিরিজ জয় করে ট্রফিটি তো নিজেদের করে নেয়া গেছে! সিরিজ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা মারিয়া মান্দা বলেন, ‘আমি কখনই ভাবিনি এই পুরস্কারটি পাব। দলের সাফল্যই আমার কাছে আগে।’ সিরিজের টপ স্কোরার আঁখি খাতুন বলেন, ‘আমি ডিফেন্ডার। আমার মূল কাজ রক্ষণ সামলানো। তারপরও দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল করেছি এবং সেটা দলের কাজে এসেছে। এজন্য আমি খুবই খুশি।’ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের ভাষ্যমতে, ‘গত নয় মাস কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেললেও মেয়েরা দীর্ঘদিন কঠোর অনুশীলনের মধ্যে ছিল। ফিজিক্যালি, টেকনিক্যালি ও ট্যাকটিক্যালি আমরা এগিয়ে ছিলাম। তারই ফলাফল এই রেজাল্ট।’ বাংলাদেশ ॥ রূপনা চাকমা, শিউলি আজিম, আঁখি খাতুন, মাসুরা পারভীন, শামসুন্নাহার সিনিয়র, মারিয়া মান্দা, মনিকা চাকমা, সানজিদা আক্তার (শামসুন্নাহার জুনিয়র), কৃষ্ণা রানী সরকার, সিরাত জাহান স্বপ্না (ঋতুপর্ণা চাকমা), সাবিনা খাতুন (অধিনায়ক)।
×